রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুজো কমিটির ডাকে এবারও ১০ জনের টিম নিয়ে হাজির হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার খাকড়াকোনা জ্ঞানদা চক্রবর্তীর পুতুলনাচের সংস্থা। জ্ঞানদা পুতুলনাচ সংস্থা তিনপুরুষ ধরে এই পুজোয় পুতুলনাচ দেখিয়ে চলেছে। সংস্থার কর্ণধার মাধব চক্রবর্তীর কথায়, হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন ড্যাংয়ের পুতুল নাচ। একটি লাঠির উপর কাঠের পুতুলকে নাড়িয়ে পৌরাণিক ও সামাজিক বিষয়ের পালাগানকে মানুষের কাছে তুলে ধরা হয়। আজ আর তেমন বায়না না হলেও বাপ ঠাকুরদার ব্যবসা ধরে রেখে বছরে কয়েকটা পালা নিয়ে রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা অন্য সময় কেউ হকারি, কেউ চাষের কাজে যুক্ত থাকেন। ডাক পড়লে ছোটেন কাঠের পুতুল কাঁধে মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য। এই সরকার আসার পর তাঁদের শিল্পীর পরিচয়পত্র দেওয়ায় মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। সরকারি কর্মসূচিতে ডাকও পাচ্ছেন। করোনার দুই বছর কোনও বায়না হয়নি। এবছর একটু একটু করে বায়না আসতে শুরু করেছে। তবে, এই শিল্পে আর ভবিষ্যত নেই বলে নতুন করে আর কেউ পেশায় আসতে চাইছে না। দেখা যাবে শিল্পীর অভাবে খুব তাড়াতাড়ি হারিয়ে যাবে এই পুতুল নাচ।
মাধববাবু বলেন, স্বাধীনতার আগে তাঁর ঠাকুরদা এই পুজোয় পুতুলনাচ দেখাতে শুরু করেন। ঠাকুরদার পর বাবা। এখন আমি প্রবীণ বয়সে দলের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে চলেছি। আয় তেমন না হলেও বাপ ঠাকুরদার তৈরি করা ড্যাংয়ের পুতুলনাচের ঐতিহ্যটুকু ধরে রাখার চেষ্টা করে চলেছি। জানি না কতদিন ধরে রাখতে পারব।
পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রাজা কুণ্ডু বলেন, মহিষমর্দিনী মায়ের পুজোর প্রাচীন ঐতিহ্য হল এই পুতুলনাচ। আমরা প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছি।
শুক্রবার ছিল পুজোর প্রথম দিন। এদিন প্রতিমা দর্শনে মানুষের ঢল নামে। ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিস প্রশাসকে। সিসি ক্যামেরায় সব সময় রাখা হয়েছে নজরদারি।
মেলা কমিটির সম্পাদক সমরজিৎ হালদার বলেন, করোনার জন্য দুই বছর পুজো বন্ধ থাকায় এবার ভিড় একটু বেশি হবে। স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে দর্শনার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই দিক খেয়াল রাখা হচ্ছে।