উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, পিংলার পটের সুনাম দেশজুড়ে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ওখানে একটি পটের হাব তৈরি করা যায়। তাহলে শিল্পীরা উপকৃত হবেন। আমি ইতিমধ্যেই বিডিওকে জমি খোঁজার জন্য বলেছি।
পিংলার নয়াগ্রামে মূলত পটশিল্পীদের বসবাস। এই গ্রামের সাধারণ মাটির বাড়ির নিকনো দেওয়ালেও রয়েছে শিল্পের ছোঁয়া। পট আঁকার পাশাপাশি শিল্পীরা গানও বাঁধেন। এই গ্রামে প্রায় ১০৬টি পটুয়া পরিবারের বাস। পটশিল্পীর সংখ্যা ২৬৫। পটের হাব তৈরি হলে সেখানে যেমন বসে আঁকতে পারবেন শিল্পীরা। তাঁদের আঁকা পটচিত্র প্রদর্শনী ও বিপণনের ব্যবস্থাও থাকছে। পট পছন্দ হলে সেখান থেকেই কিনতে পারবেন দর্শকরা। পিংলার বিডিও বিশ্বরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, জমি খোঁজার কাজ চলছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উত্তাল ছিল গোটা বিশ্ব। পট এঁকে যুদ্ধবিরতির বার্তা দিয়েছিলেন পিংলার শিল্পীরা। তার আগে কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে নেতাজিকে নিয়ে ১২৫ফুট লম্বা পট এঁকেছিলেন শিল্পীরা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই পটের প্রশংসা করেছিলেন। পিংলার পটকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পীদের ভাতার পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে ‘আর্টিজেন ক্রেডিট কার্ড’। যার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন শিল্পীরা। শিল্পীদের তৈরি পণ্য বিক্রি করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হস্তশিল্প মেলার আয়োজন হয়।
পিংলার নয়া গ্রামের পটশিল্পী বাহাদুর চিত্রকর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই আমাদের অবস্থা আগের থেকে উন্নতি হয়েছে। এখানে পট হাব হলে আমরা আরও উপকৃত হব।
হাব তৈরি পাশাপাশি পিংলার নয়ায় একটি হোম স্টেও তৈরি হচ্ছে। প্রশাসন সুত্রের খবর, হোম স্টের জন্য অনেকেই আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে নয়ার একজন শিল্পীর বাড়ি হোমস্টের জন্য যোগ্য মনে হয়েছে। সেই হোম স্টে শীঘ্রই চালু করে দেওয়া হবে। জেলাশাসক বলেন, পটচিত্র দেখতে ও কিনতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই পিংলায় আসেন। কিন্তু আশেপাশে কোনও হোটেল না থাকায় ফিরে যেতে হয় পর্যটকদের। রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা থাকলে এখানে আরও বেশি মানুষ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এরফলে শিল্পীদের বিক্রিবাটাও বাড়বে।