উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
মৃতার বাপেরবাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার মোড়গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে কৃষ্ণপুর গ্রামের বামদেব মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির দাবিমতো পণ দিয়ে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাঁচদিন আগেও খাট ও তোষক দেওয়া হয়েছে। মৃতার বাবা হাসু মাল পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি বলেন, খাট-তোষকের সঙ্গে লেপ ও বালিশ না দেওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেঁকে বসে। ওরা মেয়েকে নানা কথা শোনাচ্ছিল। এখন হাতে সেভাবে কোনও কাজ নেই। সংসারে অনটন রয়েছে। শীত পড়ার আগেই লেপ-বালিশ পৌঁছে দেব বলে মেয়েকে জানিয়েছিলাম। তারপরই এই ঘটনা।
মৃতার মা কমলিকা মাল বলেন, শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখি, মেয়ে বাড়ির উঠনে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির সবাই পালিয়ে গিয়েছে। মেয়ের শরীরে একাধিক জায়গায় মারধরের চিহ্ন রয়েছে। মেয়ের সংসারের কথা ভেবে কষ্ট করে হলেও শোকেস, খাট, তোষক দিই। লেপ-বালিশও দিতাম। কিন্তু ওদের তর সইল না। এমনকী মেয়ের বাচ্চা না হওয়ায় ওরা খোঁটাও দিত। সৎকার হয়ে যাওয়ার পরই শ্বশুরবাড়ির নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।
অন্যদিকে মঙ্গলবার নলহাটিতে এক যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম নাসিমা খাতুন(১৯)। বাড়ি নলহাটি থানার হায়দারপুর গ্রামে। তিনি নলহাটির একটি বেসরকারি কলেজের বিএ প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সোমবার মধ্যরাতে তাঁকে কীটনাশক খাওয়া অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে সাগরদিঘি থানার ধলসা গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়। যদিও একবছরের মাথায় ডির্ভোস হয়ে যায়। নাসিমার মা-বাবা আগেই মারা যান। বড় দুই দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে ছোটবোনের সঙ্গে ওই যুবতী থাকতেন। মৃতার খুড়তুতো ভাই আবুল হাসান বলেন, নাসিমা উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করছিল। নিত্যনতুন মোবাইল সহ নানা জিনিস কিনে দেদার টাকা খরচ করছিল। এনিয়ে সোমবার দিদিরা ওকে বকাবকি করে। এরপরই রাতে কীটনাশক খেয়ে নেয়। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে।