বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার বিকেলে জয়নগর থেকে পুরীগামী ট্রেনটি দু’ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ায়। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে কয়েকজন যাত্রী উঠছেন। এমন সময় এক বৃদ্ধা সামান্য ছুটে এগিয়ে আসছেন। কিছুক্ষনের মধ্যেই তাঁর ছেলে ছুটতে-ছুটতে বৃদ্ধার দিকে এগচ্ছেন। তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে বৃদ্ধাকে বলছেন, ট্রেনে উঠে পড়তে। ততক্ষনে অবশ্য ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃদ্ধা ট্রেনের দরজা ধরে ওঠার চেষ্টা করেন। পরে তাঁর ছেলেও মা’কে নিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। আর তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পা পিছলে পড়ে যান দু’জনেই। বৃদ্ধার চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা দেখেই বাঁকুড়া স্টেশনের আরপিএফের ওই মহিলা কনস্টেবল এগিয়ে যান। ট্রেনের দরজার কাছে পড়ে যেতেই তিনি তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে রেলের অন্যান্য কর্মী ও যাত্রীদের একাংশ উদ্ধার কাজে হাত লাগান।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া স্টেশনে আরপিএফের ‘মেরি সহেলি’ টিমের সদস্য কে তেজা। তিনিই ওই বৃদ্ধা ও তাঁরা ছেলেকে প্রথম উদ্ধার করেন। তাঁর এই কর্মদক্ষতার জন্য রেলের কর্তারা অভিনন্দন জানিয়েছেন। মেরি সহেলি টিমের ইনচার্য আল্পনা কুমারী বলেন, ‘আমাদের টিমে আরপিএফ কর্মীরা মহিলা যাত্রীর সুরক্ষায় কাজ করেন। ট্রেনে সওয়ারি যে কোনও মহিলা যাত্রীর অসুবিধার কথাও জানতে চাওয়া হয়। ওইদিন ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার পর বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করেছেন আমাদের টিমের সদস্য। তাঁদের অবশ্য সেভাবে চোট লাগেনি।’ এর আগেও চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কয়েক মাস আগে বাঁকুড়া স্টেশনেও এমন এক দুর্ঘটনায় এক মহিলা যাত্রীর মাথায় চোট লাগে। সেই সময় আরপিএফ কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করেন।