কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গুজরাতের সুরাতে থাকতেন অভিষেক। সেখানে একটি নামকরা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি। আজ থেকে সাত-আটবছর আগে বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রী থাকতেন আনন্দপুরের বাড়িতে। বছরে দু’একবার বাড়িতে আসতেন, কিছুদিন থেকে আবার চলে যেতেন। সাড়ে পাঁচ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর যেতে না যেতেই স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে যান স্ত্রী। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মোহবনী থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নাড়াজোলের এক গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। সুরাত থেকে যখনই আনন্দপুরে আসতেন, তখনই ওই গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হতেন তিনি। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।
আজ থেকে ১৫ দিন আগে ফের সুরাত থেকে আনন্দপুরে ফেরেন অভিষেক। দীর্ঘদিন পর বাড়িতে ফিরলেও স্ত্রী সন্তানের প্রতি মন ছিল না তাঁর। দিনের অনেকটা সময় ফোনের পিছনেই কাটিয়ে দিতেন। ভুলেও ফোনটি হাতছাড়া করতেন না। তাঁর আচরণে স্ত্রীর সন্দেহ হয়। এরপর শুক্রবার স্বামীর ফোনটি কোনওভাবে হাতে পেয়ে যান স্ত্রী। কললিস্টে নাড়াজোলের ওই মহিলার নম্বর দেখতে পেয়ে বাড়িতে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। রাগে স্বামীকে নানান কথা শোনাতে শুরু করেন স্ত্রী। স্থানীয় ও পুলিস সুত্রে খবর, শুক্রবার বাড়িতে অশান্তির পর শনিবার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অভিষেক। অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মাঠের ধারে একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় এক ব্যক্তি মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। প্রথমে তাঁরই নজরে পড়ে অভিষেকের দেহ। খবর দেওয়া হয় আনন্দপুর থানায়। পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে রবিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিস জানিয়েছে, কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। একটি অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।