বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ জুন তেহট্ট-১ ব্লক অফিসের সামনে বেতাই-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষজন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও বাগান না থাকা সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজে তাঁদের বাগান দেখানো হয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে সেই সমস্ত পরিবারের বাগানের কাজ দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁরা ১০০ দিনের কাজই করেননি। তাঁদের অভিযোগ, ২০২০-’২১ অর্থ বর্ষে প্রায় এক কোটি সাত লক্ষ টাকা ও ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা ওই প্রকল্পের জন্য এসেছিল। অথচ, কোনও কাজই হয়নি। সেই টাকা কোনও জবকার্ড হোল্ডারের ব্যাঙ্কের বইয়ে জমাও হয়নি। পুরোটাই পঞ্চায়েতের তরফে তুলে নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বাসিন্দারা বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বিডিও শুভাশিস মজুমদার বিষয়টি তদন্ত করবেন বলে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্লক প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করে। সেই তদন্তে ১৮ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৫০ টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ে। এরপরেই ব্লক প্রশাসনের তরফে সাতজন সুপার ভাইজার, প্রধান, এনএস, ইএ, এসটিপিকে শোকজ করা হয়। তাঁদের উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে দ্বিতীয়বার শোকজ করে ব্লক প্রশাসন। সেই শোকজ নোটিসে তিনদিনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে ওই টাকা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু, সেই টাকা তিনদিনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি। তারপরই রবিবার মহকুমা শাসকের নির্দেশে থানায় অভিযোগ জমা হয়। এরমধ্যে সাতজন সুপার ভাইজারকে ব্লক প্রশাসন বরখাস্ত করে।
প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। তাঁরা বলেন, টাকার অঙ্ক কম হলেও প্রশাসন যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তাতে আমরা খুশি। এটা খুব ভালো উদ্যোগ। তবে আমাদের হিসেবে আরও বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব। বিডিও শুভাশিস মজুমদার বলেন, যা বলার মহকুমা শাসকই বলবেন। মহকুমা শাসক বলেন, এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা, সরকারি টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।