কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ুল গ্রামে ধর্মদাস দাস নামে এক ব্যক্তির পাঁচ ছেলে। অবিবাহিত ছোট ছেলে বাইরে থাকেন। বাকি চার ভাই ও তাঁদের পরিবার বাড়িতে থাকেন। তাঁদের মধ্যে বড়ো ভাই চাষাবাসের সঙ্গে যুক্ত। এক ভাই বাসচালক। অপর দু’জন জেসিবি মেশিনের চালক। পুরুষরা কাজের সূত্রে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকেন। বাড়িতে শ্বশুর এবং তাঁর চার বউমা। থাকেন। তাঁদের মধ্যে একজন সুদীপ্তা বেশ অলস প্রকৃতির। বেশির ভাগ সময় ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সংসারের কাজকর্ম নিয়ে উদাসীন থাকেন। এ নিয়ে শ্বশুর এবং বাড়ির অন্যান্যরা তাকে প্রায়ই বকাবকি করেন। তাতে সুদীপ্তার রাগ আরও বাড়ে। মাঝেমধ্যে ঝামেলাও বাঁধিয়ে ফেলেন। সেজো ভাসুর ও তাঁর স্ত্রী প্রতিবাদ করায় তাঁদের উপর বেশি ক্রোধ জন্মায় সুদীপ্তার। সেই কারণেই শ্বশুর, সেজো ভাসুর ও সেজো জা’কে মেরে ফেলার চক্রান্ত করে সে। সেই মতো শুক্রবার দুপুরে সুদীপ্তা ডালের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে দেয়। কিন্তু বাড়ির শিশুরা আগেভাগে তা খেয়ে নেওয়ায় গোটা পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এবং ধরা পড়ার ভয়ে তিনি নিজেও অল্প পরিমাণ ডাল খায়। অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ওইদিন দুপুরে বাড়ির তিন শিশু প্রথমে খেতে বসে। বাড়ির মেজো বৌ তাদেরকে খেতে দেন। শিশুরা ভাতে ডাল মেখে খাওয়া শুরু করতেই গন্ধ ও তেতো স্বাদ পায়। বাড়ির দুই বউ পরপর তা চেখে দেখেন। তাঁরাও একই গন্ধ ও তেতো স্বাদ পান। এরপর শিশুরা বমি করতে শুরু করে। চেঁচামেচি শুনে অভিযুক্ত সুদীপ্তা ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সবার সামনে সামান্য ডাল মুখে তোলে। ততক্ষনে বাড়িতে হুলস্থূল পড়ে যায়। প্রত্যেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্ত সুদীপ্তাও অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা খাবারে বিষক্রিয়ার কথা জানালে সকলের সন্দেহের তীর সুদীপ্তার উপর পড়ে। তাকে চাপ দিতেই সে স্বীকার করে নেয়। তবে তিনি শিশুদেরকে নয়। পরিবারে তার শত্রুদের মারতে চেয়েছিল বলে জানান। এরপরেই পরিবারের পক্ষ থেকে সুদীপ্তার বিরুদ্ধে ইন্দাস থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।