পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সত্তরের দশকে ক্লাবের সূচনাকালে শুধু দুর্গাপুজো নয়, কালী, সরস্বতী পুজোরও আয়োজন হতো। পুজোর পাশাপাশি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আনন্দগোপল রায়চৌধুরী, মাখন মজুমদার, নির্মল মুখোপাধ্যায়রা যাত্রার আয়োজন করতে থাকেন। নিজেরাই বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে যাত্রা করা শুরু করেন। তা দিয়েই সংস্কৃতিতে হাতে খড়ি ক্লাবের। পরবর্তীকালে ক্লাবের উদ্যোগে বহু বছর যাত্রা উৎসব চলেছে। সেই থেকে সংস্কৃতির বিভাগের পথ চলা শুরু হলেও আজও তার ধারা অব্যাহত রয়েছে। রবীন্দ্র জয়ন্তীতে প্রভাতফেরি দিয়ে দিনের সূচনা হয়। দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সারাবছরই সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পয়লা বৈশাখ রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয় বলে জানিয়েছেন ক্লাবের সংস্কৃতিক বিভাগের দেখভাল করা তপন দাস, সুজয় সেনগুপ্তরা।
১৯৭০ সাল থেকে খেলাধুলোর আয়োজনেও পারদর্শী এই ক্লাব। তারা সেই সময় বহু বছর স্টেট লেভেল ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন চলে। ১৯৮০ সাল থেকে তাদের ফুটবল টিম গড়ে ওঠে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত আসানসোল সাব ডিভিশনাল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের নানা প্রতিযোগিতায় তাদের টিম অংশ নেয়। ক্লাবটি ঘটা করে ১৯৯৭ সাল থেকে নেতাজি গোল্ড কাপের আয়োজন করে আসছে। সেখানে নামী ফুটবল তারকারা অতিথি হিসেবে আসেন। ক্লাব সভাপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ শর্মা, সাধারণ সম্পাদক উৎপল রায়চৌধুরী বলেন, এবছরও ২১ থেকে ২৮ আগস্ট এই প্রতিযোগিতা হবে। আগে বিভিন্ন ক্লাবের মধ্যে এই ফুটবল প্রতিযোগিতা হতো। এখন বিভিন্ন স্কুলের ফুটবল দলের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা হয়। আটটি স্কুল এতে অংশ নিচ্ছে। ক্লাবের মহিলা ভলিবল টিম ও অ্যাথলেটিকস টিমও রয়েছে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে এই ক্লাবের। ১৯৮০ সালে দুর্গামন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯৩ সালে লাইব্রেরি রুম করা হয়। সেই থেকে লাইব্রেরি রয়েছে ক্লাবের। একটা সময় মানুষের ভিড় জমত। এখন অবশ্য লাইব্রেরি নিয়ে কারও আগ্রহ নেই। ২০০০ সাল থেকে নেতাজি চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি চালু হয়। দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, রবীন দত্তরা বলেন, ২২ বছর ধরে এলাকার মানুষের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে আসছে এই ডিসপেনসারি। করোনা থেকে যশ মানুষের পাশে থেকেছে ক্লাব। করোনাকালে ত্রাণ বিলি ও মানুষকে খাবার বিতরণ করার পাশাপাশি দুঃস্থ করোনা আক্রান্তদের ডাকযোগে ওষুধ পাঠানোর উদ্যোগ নেন ক্লাব সদস্যরা। সেই পরিষেবা আজও চলছে। ঘাটালের বন্যা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের ঘূর্ণিঝড় অধ্যুষিত এলাকায় ছুটে গিয়েছেন বিনোদ প্রসাদ, পল্লব রায়চৌধুরী, চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ক্লাব সদস্যরা।