রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সেচদপ্তরের সমীক্ষা অনুযায়ী মাটির তৈরি যে কোনও নদী বাঁধ গ্রাম সংলগ্ন এলাকাকে রক্ষা করতে জলের প্রবল চাপ ধারণ করতে সক্ষম হয়, যদি সেই বাঁধের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ২:১ অনুপাতে তৈরি হয়। কিন্তু সেই দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত কমে নদী বাঁধ জলের আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এই দুর্বল পরিস্থিতি তৈরি হলে বন্যা অনিবার্য হয়ে ওঠে। সমীক্ষায় সেচদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে সুন্দরপুরের এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নদী বাঁধের মধ্যে প্রায় পাঁচশো মিটার নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে পুনরায় বন্যার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বিষয়টি ইতিমধ্যেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে জেলা সেচদপ্তর। চলতি মাসেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী নভেম্বর মাসে কাজ শুরু হবে। তবে মাঝের সময়ে অজয় নদের জলস্ফীতি হলে ফের বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি জেলাশাসক বিধান রায়কে জানানো হলে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে।
যদিও এর জন্য সেচদপ্তরের উদাসীনতাকেই দায়ি করছে নানুরবাসী। গত বছর বন্যা হওয়ার পরেও দীর্ঘ সময় বাঁধ সংস্কার করা হয়নি, এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য, গত ৩০ এপ্রিলেই তাঁরা ওই নদীবাঁধ থেকে নেমে গিয়েছেন। বন্যার সময় এগিয়ে আসছে দেখে এখন তৎপর হয়েছে সেচদপ্তর। এমনটাই অভিযোগ তাঁদের।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ উড়িয়ে সেচদপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, নদী বাঁধের উপর দীর্ঘদিন বসবাস করার ফলে বর্তমানে সুন্দরপুরের নদী বাঁধের ৫০০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই বাঁধের সংস্কারের জন্য জেলা সেচদপ্তরের পক্ষ থেকে ৯৯ লক্ষ টাকার কাজের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। সেটি কার্যকর হলে দ্রুত কাজ শুরু করবে সেচদপ্তর। বন্যার কারণে নানুরের সুন্দরপুর নদীবাঁধে এইভাবে বসবাস করার ফলেই বাঁধ দুর্বল হয়েছে দাবি সেচ দপ্তরের।-নিজস্ব চিত্র