গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মহম্মদ ইউনুস বলেন, হাসপাতালের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। রোগীর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। নানা জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এই ধরনের ঘটনা নিন্দনীয়। পুলিসকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, হাসপাতাল চত্বরে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের চালক কাঞ্চন বাউরির(২১) বাড়ি আসানসোলের বুধা বাউরিপাড়ায়। তাঁকে সোমবার দুপুরে ডায়ারিয়ার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীর অবস্থা ভালো নয় বলে রোগীর পরিবারকে জানানো হয়। অন্যত্র নিয়ে যাওয়ারও কথা বলা হয়। কিন্তু তাঁরা সেখানেই ভর্তি রাখেন।
অবস্থা অবনতি হওয়ায় সন্ধ্যার সময়ে তাঁকে সিসিইউ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে যুবকের মৃত্যু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লেই রোগীর আত্মীয় থেকে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে ভিড় জমাতে থাকেন। বিনা চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ তুলে রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু হয়। সিসিইউ ভাঙার চেষ্টা হয়। স্কুটি ভাঙচুর করা হয়। এরজেরে হাসপাতালজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
মৃতের বাবা সূর্য বাউরি বলেন, হাসপাতালে যদি চিকিৎসাই না হয়, তাহলে সেই হাসপাতাল রেখে কী লাভ। কেন আমাকে আগে বলল না। আমি অন্যত্র নিয়ে চলে যেতাম।
এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও রোগীর আত্মীয়রা তা করাননি বলে সিএমওএইচ জানিয়েছেন।
আইএমএর আসানসোল ব্রাঞ্চের সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। এতে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরও প্রভাব পড়ে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।