পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চক্রবর্তী বাড়ির কালিমন্দিরে ঠাকুরের অলঙ্কার সহ অন্যান্য সামগ্রী চুরি হয়। ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিস রবিবার শেখ আজহারউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি থেকেই চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয়। ধৃতকে তিনদিন পুলিস হেফাজতে নেওয়ার পর তাকে জেরা করে পুলিস শম্ভুর খোঁজ পায়। সোমবার রাতে তাকেও পুলিস গ্রেপ্তার করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চুরির আগে ধৃত দুই দুষ্কৃতী পরপর তিনদিন মন্দিরে রেইকি করে যায়। মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আজহারউদ্দিন পরপর দু’দিন রাতের দিকে সাইকেলে নিয়ে সেখানে চক্কর কাটে। দেবীকে প্রণাম করার নাম করে শম্ভু গয়নাগাটি কত আছে, তা দেখার জন্য একদিন দিনের বেলায় যায়। তারপরেই দু’জনে মিলে চুরির ছক কষে।
গত শনিবার গভীর রাতে তারা মন্দিরে হানা দেয়। ঠাকুরের গয়না সহ বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনার ছ’ঘণ্টার মধ্যেই পুলিসের জালে আজহারউদ্দিন ধরা পড়ে। চুরি করা সামগ্রী বিক্রির সুযোগ না পাওয়ায় তা উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতীরা শহরের বিভিন্ন মন্দিরে সাইকেলে করে নিয়মিত চক্কর কাটত। ঠাকুরকে প্রণাম করার নাম করে শম্ভু লাহা প্রথমে দেখে আসত, কোন মন্দিরে বেশি গয়না রয়েছে। তারপর সে আজহারউদ্দিনকে বলত। সে রাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে আসত। বিশেষ করে মন্দিরের তালা কতখানি মজবুত, গেটের রডে মরচে ধরেছে কি না, তা দেখে নিত। তারপর সেইমেতো সে রড ও তালা ভাঙার সরঞ্জাম নিয়ে হানা দিত।
বিষ্ণুপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, শহরে বহু মন্দির আছে। পুলিস নিয়মিত টহল দেয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে গলির ভিতরে থাকা মন্দিরগুলি কর্তব্যরত পুলিসের নজর এড়িয়ে যায়। তাই পুরনো মন্দিরে সুরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে অনেক মন্দিরের গেটে থাকা পুরনো রডে মরচে ধরে সরু হয়ে গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের পক্ষে তা ভাঙা সহজ হয়। তা ঠিকঠাক করতে হবে। একাধিক তালা ব্যবহার করলে ভালো হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষকে এনিয়ে আরও সচেতন হতে হবে।