বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তৃণমূল কর্মী অভিজিৎ হালদার বলেন, তৃণমূলের জন্ম লগ্ন থেকে আমি এই দলের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু বর্তমান পুরসভার চেয়ারম্যান শিবু বাইন গ্রিন সিটি প্রকল্প সহ একাধিক প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত। তার তথ্য প্রমাণও আমার কাছে রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কাছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। তাই দলের স্বার্থেই আমি পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিককে লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছি।
পুরসভা কার্যনির্বাহী আধিকারিক তীর্থ মজুমদার বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পাশাপাশি ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কুপার্স শহরে গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা সহ বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ হয়। সেই অর্থ ব্যয় করে শহরের ১২টি ওয়ার্ডে মোট ১১২ টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর কথা ছিল। অভিযোগ, ৭৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হলেও, বাকি ৩৭টি ক্যামেরা বসানো হয়নি। এছাড়া ওই ক্যামেরার জন্য ২০টি পোল বসানোর কথা ছিল। বিক্ষুব্ধদের দাবি, শহরে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি বৈদ্যুতিক পোলে লাগানো হয়েছে। এছাড়াও ওই ক্যামেরার জন্য বরাদ্দ ১০ হাজার মিটার কেবল তারের কোনও হদিস মিলছে না। শুধু সিসিটিভি ক্যামেরাই নয়, প্রকল্পে একাধিক কাজে অনিয়ম হয়েছে।
যদিও বিষয়টি নিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান শিবু বাইন বলেন, পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা বিষয়টি পরিষ্কার করে বলতে পারবেন। তবে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। শহরে ১০-১২ টি উন্নত মানের সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যার মূল্য সাধারণ সিসিটিভি ক্যামেরার থেকে অনেক বেশি। যে কারণে হয়তো সংখ্যায় কয়েকটি ক্যামেরা কম থাকতে পারে। তবে যারা এই অভিযোগ করছেন, তাঁরা নিজেদের স্বার্থের জন্যই করছেন। কারণ পুরসভা ভোটের মেয়াদ প্রায় সাড়ে চার বছর অতিক্রান্ত। এতদিন তাঁরা কোনও অভিযোগ করেনি।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক দীপক দে বলেন, আমরাও কুপার্স পুরসভায় সরকারি প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির প্রতিবাদ আগেই করেছিলাম। আসলে ওদের মধ্যে কাটমানির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। যে কারণেই তৃণমূলের এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে। আগামী পুরসভা নির্বাচনে শহরের সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এর উত্তর দেবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর মাসের কুপার্স পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে চলেছে। ২০১৭ সালের কুপার্স পুরসভা নির্বাচনে ১২ টি ওয়ার্ডের জয়লাভ করেন তৃণমূল প্রার্থীরা। আগামী ভোটে গোষ্ঠীকোন্দল মিটিয়ে পুরবোর্ড ধরে রাখটাই শাসকদলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।