রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গৃহহীন মানুষদের মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দিতেই পুর এলাকায় চালু হয়েছে ‘হাউজ ফর অল’ বা ‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্প। যে সব পুর এলাকায় জনসংখ্যা ৫ লক্ষের কম, সেখানে বাড়ি তৈরির জন্য মোট তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দেড় লক্ষ টাকা দেয় কেন্দ্র, রাজ্য সরকার দেয় এক লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা, এবং উপভোক্তাকে ২৫ হাজার টাকা দিতে হয়। পুরসভা সুত্রে খবর, মেদিনীপুর শহরে মোট ৮৫টি বস্তিতে প্রায় ১৩ হাজার ৩৯৮টি বাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে কাঁচাবাড়ি, ঝুপড়ি ও কুঁড়েঘরের সংখ্যা প্রায় নয় হাজার ৩১৮টি। এইসব বাড়িগুলিতে প্রবল কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করতে হয় পরিবারের লোকেদের। বর্ষায় বেশির ভাগ বাড়িতেই জল ঢুকে যায়, কুঁড়ে ঘরের মাটির দেওয়াল ধসে যায়। এইসমস্ত পরিবারগুলিকে ‘হাউজ ফর অল’ প্রকল্পের ‘যোগ্য’ দাবিদার বলে চিহ্নিত করে পুরসভা। কিন্তু তারপরেও বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন করেন বহু মানুষ।
পুরসভা সুত্রে খবর, এই প্রকল্প চালুর একদম প্রথম বছর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে মোট ১২৩৮টি বাড়ি অনুমোদিত হয়েছিল। তারমধ্যে ১১৮১টি বাড়ি তৈরি হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ৮০০টি বাড়ি অনুমোদিত হয়েছিল। তারমধ্যে তৈরি হয়েছে ৭৭০টি বাড়ি। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে মোট ১০৯২টি বাড়ি অনুমোদিত হয়েছিল। তারমধ্যে মাত্র ৩৭৫টি বাড়ি তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। বাকি বাড়ি তৈরির কাজ টাকার অভাবে থমকে রয়েছে। এরপর ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ ২৫০০টি বাড়ি অনুমোদিত হয়। কিন্তু তার জন্য এক টাকাও এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ হয়নি। পুরপ্রধান সৌমেন খানের অভিযোগ, অনুমোদনের পর প্রায় দু’বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত একটি বাড়ি তৈরির টাকাও বরাদ্দ হয়নি। বাড়ির জন্য প্রায় ছ’হাজারের বেশি মানুষের আবেদন জমা পড়ে রয়েছে। কেন্দ্রের বঞ্চনার ফলে চোখের জল ফেলতে হচ্ছে গরিব মানুষকে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ করে আসছে রাজ্যের শাসকদল। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। শুধুমাত্র একশ দিনের কাজেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রায় প্রায় দু’শ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তার উপর ‘হাউজ ফর অল’ প্রকল্পের টাকা না দেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বহু মানুষ। যা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা অব্যাহত। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অরূপ দাসের দাবি, কেন্দ্রের পাঠানো টাকা নয়ছয় করা হয়। গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির টাকাতেও কাটমানি নেয় তৃণমূল। স্বজনপোষণ হয়। কেন্দ্রকে হিসাব দেয় না সরকার। এসব আগে বন্ধ হোক, তাহলে কেন্দ্র অবশ্যই টাকা পাঠাবে।