গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সদাইপুর থানা এলাকা থেকে ওই যুবক বাইক চুরি করে পালাচ্ছিল। খবর পাওয়ার পর পুলিসের সন্দেহ হয়, সে সম্ভবত দুবরাজপুরের দিকে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি দুবরাজপুর থানাকে খবর দেওয়া হয়। তারপরই পুলিস কন্ট্রোল রুমে প্রতিটি সিসিটিভির লাইভ ফুটেজ দেখতে শুরু করেন। তখনই দেখা যায়, ওই যুবক বাইক চুরি করে দুবরাজপুরে ঢুকছে। তবে সঙ্গে সঙ্গেই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। প্রথমে যুবকের বাড়ি পৌঁছনো পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। পরে সময় বুঝে সিসিটিভি দেখে অতর্কিতেই তার বাড়িতে হাজির হয়। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর চোখ কপালে ওঠার জোগাড় পুলিসের! একটা-দু’টো নয়, ন’টা বাইক চুরি করে রেখেছে মণিমোহন।
পুলিস এরপর তল্লাশি চালিয়ে দুবরাজপুরের পাকুরিয়া গ্রামের জঙ্গলের ভিতরে একটি শুকনো পুকুরের পাশে ঝোপের মধ্যে থেকে চোরাই বাইকটি উদ্ধার করে। পাশাপাশি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বাড়ি ও বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ন’টা বাইক উদ্ধার করা যায়। প্রতিটি বাইকই সে চুরি করেছিল বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। তারপর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করে চুরি যাওয়া আরও বাইকের হদিশ মিলতে পারে বলে মনে করছে পুলিস। পাশাপাশি মণিমোহন আন্তঃরাজ্য চোরা কারবারের সঙ্গে যুক্ত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুবরাজপুর থানার এক অফিসার বলেন, ধৃত যুবক বাইক চুরির সঙ্গে যে বহু বছর ধরেই যুক্ত এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। উদ্ধার হওয়া বাইকগুলি সে বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি করেছে। ওর সঙ্গে আরও কেউ এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেন চোরাই বাইক উদ্ধার করেছিলেন। তিনি এই থানায় আসার পরই চোরা কারবারিদের হাত থেকে বহু বাইক উদ্ধার করেছিলেন। তবে বারবার এভাবে বাইক চুরি যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলাবাসীও। কখনও রাস্তার মোড় থেকে, কখনও দোকানের সামনে থেকেই দিনে দুপুরে বাইক চুরি হয়ে যায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা রহিম শেখ বলেন, বাইক চুরি আটকাতে শহরের পাশাপাশি বড় রাস্তার মোড়ে আরও সিসিটিভি লাগাতে হবে। এতে চোরেদের দৌরাত্ম্য কমবে বলেই মনে হয়। তবে বাইক উদ্ধারে দুবরাজপুর থানার পুলিসের সক্রিয়তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।