কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাজ্যজুড়ে একশো দিনের কাজ করার হিড়িক পড়লেও একটা সময় ব্যতিক্রম ছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলা। কয়লা, বালির অবৈধ কারবারে শ্রমিক হিসেবে খাটলে কাঁচা টাকা রোজগার, তাই একশো দিনের কাজে শ্রমিক পেত না প্রশাসন। তবে কয়লা চুরি নিয়ে কড়াকড়ি বাড়তে ও একশো দিনের কাজের পরিধি বাড়ায় পরিস্থিতির বদল এসেছিল। বিশেষ করে শেষ দু’বছরে শতাংশের বিচারে একশো দিনের কাজে প্রথম সারিতেই ছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলা। বর্ষার আগেই এই কাজের সবচেয়ে বেশি গতি থাকে। গতবছর এই সময়ে ১২ হাজার শ্রমিক একশো দিনের কাজ করেছেন। কিন্তু ডিসেম্বর মাস থেকে টাকা না পেয়ে সেই সংখ্যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ছ’হাজারে। সেই সংখ্যাও আর ধরে রাখা যাবে না বলে প্রশাসনের দাবি। কেন্দ্রের প্রতি শুধু ভরসা না করে রাজ্য সরকার চাইছে বিভিন্ন দপ্তরে একশো দিনের জবকার্ডধারীদের যুক্ত করতে। তার জন্য ডেটাবেসও তৈরি হচ্ছে।
আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, তৃণমূল পরিচালিত সরকারের প্রতি বঞ্চনা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলছে বিজেপি। একশো দিনের কাজে টাকা না পাওয়ায় ফের অসামাজিক কাজে যুক্ত হচ্ছে মানুষ।
বিজেপি জেলা সভাপতি দিলীপ দে বলেন, এই প্রকল্পে রাজ্যে বড় বেনিয়ম হয়েছে বলেই কেন্দ্র টাকা দেয়নি। তবে আমরা আর্জি জানাব যাতে তৃণমূলের দুর্নীতি ঠেকিয়ে সাধারণ মানুষের কাজের ব্যবস্থা করে কেন্দ্র।