রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শিলাবতী নদীর তীরে বাংলার একমাত্র গিরিখাত গনগনি থেকে শুরু করে ধাদিকার জঙ্গল। মোট ন’’টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে নেচার সার্কিট। এই জেলায় পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলার পিছনে দু’টি মূল কারণ— এক, একই ধরনের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে সহজে চিহ্নিত করে সেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করা। দুই, পছন্দ মতো ভ্রমণের জায়গা বেছে নিতে পারবেন পর্যটকরা। যিনি প্রকৃতি ভালোবাসেন, তিনি বেড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন নেচার সার্কিট। আবার, কারও যদি ঐতিহাসিক জায়গা বেশি পছন্দ হয়, তাহলে তিনি ঢুঁ মারতে পারেন হেরিটেজ সার্কিটে।
গনগনি ও ধাদিকার জঙ্গল ছাড়াও নেচার সার্কিটে রয়েছে শিরোমণিগড়, গোপগড় ইকোপার্ক, গুড়গুড়িপাল ইকোপার্ক, অ্যানিকাট ড্যাম ও হিজলি ইকোপার্কের মতো জায়গা। এই জেলার হেরিটেজ সার্কিটও বেশ আকর্ষণীয়। এর মধ্যে রয়েছে কাঁসাই নদীর তীরের পাথরা। মেদিনীপুর শহর থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে ছোট ছোট শতাধিক টেরাকোটার মন্দির। সেইসব মন্দিরের কারুকাজ দেখতেই কেটে যাবে গোটা দিন। এই সার্কিটেই রয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ গ্রাম। ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর এই জেলার মহুবনিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাংলার বীর সন্তান ক্ষুদিরাম বসু। তাঁর জন্মস্থানকেও সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করেছে রাজ্য। এই জায়গাকেও হেরিটেজ সার্কিটের মধ্যে আনা হয়েছে। এই সার্কিটেই রয়েছে নারাজোল রাজবাড়ি, জলহরি ও হাওয়ামহল। খড়্গপুর থেকে ৪০ কিমি দূরে মোগলমারি বৌদ্ধ মহাবিহার। আর তার কিছুটা দূরেই রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত কুরুম্বেরা ফোর্ট। যা দেখতে প্রতি বছরই ভিড় জমান দেশ বিদেশের পর্যটকরা।
পর্যটকদের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উপহার এখানেই শেষ নয়। যাঁরা সংস্কৃতি চর্চা করেন, তাঁদের জন্যও রয়েছে বেশ কিছু জায়গা। তাঁদের সব থেকে পছন্দের জায়গা হতে পারে আদিবাসী মিউজিয়াম, পটচিত্রের জন্য বিখ্যাত নয়াপাতা গ্রাম ও কংসাবতীর ধারে সূর্যাস্তের হাট। অবশ্যই, কর্ণগড় মন্দিরে না গেলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ভ্রমণ। এই পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে রাখা হয়েছে রিলিজিয়াস অ্যান্ড কালচারাল সার্কিটের অধীনে।
এই সব এলাকায় যাতে পর্যটকরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পান, তার জন্য পর্যটন দপ্তর ও জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই জেলার কয়েকজন ট্যুর গাইডকে রাজ্যের উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।