কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এধরনের মাদকের চাহিদা বাংলাদেশে রয়েছে। মূলত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ থেকে এধরনের মাদক রাজ্যে আসে। পরে তা মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও নদীয়ার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যায়। সেখানে তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়। এরাজ্যে সেভাবে এই মাদকের চাহিদা এতদিন ছিল না। অনেকে এই নেশা সম্পর্কে অবহিত নয়। কিন্তু সম্প্রতি এধরনের মাদকের চাহিদা রাজ্যে বেড়েছে। বর্ধমানেও নেশায় আসক্ত হয়েছে অনেকেই। সেই কারণেই বাইরের জেলা থেকে এই মাদক বর্ধমানে ঢুকছে। মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলায় এই মাদকের কয়েকজন ‘ডিলার’ রয়েছে। তারা ভিনরাজ্যের কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই তরল মাদক নিয়ে আসে। শক্তিগড়ে উদ্ধার হওয়া মাদক মুর্শিদাবাদ বা নদীয়া থেকে এসেছিল কিনা তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছে। কালনা রুট ধরে মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া থেকে মাদক বেশকিছু দিন ধরেই জেলায় ঢুকছে বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই মাদকের স্বাদ সিরাপের মতো। খেলে মাথা ঝিমঝিম করে। এক বোতল মাদক পান করলে দিনভর নেশা থাকে। চোখ লাল হয়ে যায়। কিন্তু কোনও গন্ধ পাওয়া যায় না। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। তারা ক্যারিয়ারের কাজ করছিল। চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড বাইরের জেলা থেকে মাদক এনেছিল। তারা বর্ধমানের কোথায় বা কাকে মাদক সরবরাহ করতে যাচ্ছিল তা পুলিস তদন্ত করে দেখছে। ধৃতরা জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে তারা এই কারবারে যুক্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই বর্ধমানে হেরোইন কারখানার হদিশ পেয়েছে এসটিএফ। ওই ঘটনায় পিতা-পুত্র গ্রেপ্তার হয়েছে। এদিনও ওই ঘটনার তদন্ত করতে এসটিএফের একটি দল মঙ্গলকোট, কাটোয়া এলাকায় গিয়েছিল। ধৃত পিতা-পুত্র একসময় মঙ্গলকোটে পোস্ত চাষ করত। তাদের যারা সহযোগিতা করেছিল, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। গোয়েন্দারা তাদেরও জেরা করবে।