পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ডিসি(পশ্চিম) অভিষেক মোদি বলেন, বুধবার এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করা হয়। স্বামী মারা গেলে আর্থিক সুবিধা মিলবে এই আশাতেই স্ত্রী খুনের পরিকল্পনা করে। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিনরাজ্যের সুপারি কিলারের খোঁজ চলছে।
বুধবার গ্রামের একপাশে থাকা ফুটবল মাঠের সামনে ঝুপড়ি দোকানে খুন হন প্রাক্তন ইসিএলের কর্মী পরেশ মারাণ্ডি। তাঁকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালানো হয়। তিনটি গুলি শরীরে লাগে। পুলিস জানিয়েছে, পরেশবাবু ইসিএলের শীতলপুর গেস্ট হাউসে মালির কাজ করতেন। তিন বছর হল তিনি কাজ থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। তার আগে থেকেই স্ত্রী মঙ্গলি মারাণ্ডি(মেঝান), দুই মেয়ে ও ছেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল না। তিনি ভাইয়ের কাছেই থাকতেন। এরপরই মঙ্গলি স্বামীকে মেরে ইসিএল থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার ষড়যন্ত্র করে। তার ছোট মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিক্কি নুনিয়ার। ওই থানারই সোদপুরের বিক্কির সঙ্গে তার বন্ধু সন্দীপ নুনিয়াও মঙ্গলিদের বাড়ি আসত। মেয়ের প্রেমিক ও তার বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে মঙ্গলি তার স্বামীকে মারার ছক কষে। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে তিনজন মিলে খুনের পরিকল্পনা চলছিল। সন্দীপের বন্ধু শীতলপুরের বিশাল পাশোয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিক্কি। বিশাল যোগাযোগ করে মুঙ্গেরে তার পরিচিত সুপারি কিলার হিমাংশু পাশোয়ানের সঙ্গে। আড়াই লক্ষ টাকায় খুন করার চুক্তি হয়। পরিকল্পনা মতো হিমাংশু ট্রেনে করে শনিবারই চলে আসে। সন্দীপের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এবার শিকারের গতিবিধি রেইকি করা শুরু করে তারা। মঙ্গলবার বিকেলেই পরেশবাবুকে খুন করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোক চলে আসায় তা হয়নি। বুধবার সকালে পরেশবাবু মাঠের ধারে ঝুপড়ি দোকানে বসে আছেন বলে খবর দেয় মঙ্গলি। সন্দীপ হিমাংশুকে নিয়ে অটোয় করে গ্রামের রাস্তার মোড়ে নেমে যায়। সেখানে বাইক নিয়ে হাজির হয় বিশালও। তারপর শার্প শ্যুটার গুলি করে বিশালের বাইকে চেপেই সন্দীপকে নিয়ে এলাকা ছাড়ে। পুলিস তদন্তে নেমে স্ত্রীর পাশাপাশি বিক্কি, সন্দীপ, বিশালকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও বাইকও।