পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্যজুড়ে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার হাসপাতালগুলিতেও চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে থাবা বসাচ্ছে করোনা। ফলে হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক রাখাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। আক্রান্ত চিকিৎসকরা অধিকাংশরাই নিজের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করছেন। এছাড়াও যে সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও মোটামুটিভাবে সুস্থ রয়েছেন, তাঁরা বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী তার পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তাদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। এক সপ্তাহের নিভৃতবাস কাটিয়ে অধিকাংশই ফের কাজে যোগ দিচ্ছেন।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অমিয়কান্তি বেরা বলেন, হাসপাতালে একের পর এক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তের সংখ্যা অনেক আগেই ১০০ ছাড়িয়েছে। তবে আশার খবর, অনেক চিকিৎসক ও নার্স করোনা থেকে সেরে উঠে ফের কাজে যোগ দিয়েছেন। হাসপাতালে পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণের হার কমানোর জন্য দ্রুত ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া চলছে। জেলায় মোট ২৫ হাজার ৩৭৩ জন প্রথম শ্রেণির কোভিড যোদ্ধাকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সংক্রমণ বৃদ্ধিতেও হুঁশ নেই সাধারণ মানুষের। বেপরোয়াভাবে মুখে মাস্ক ছাড়াই বাজার করছেন, রাস্তায়, চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন। এমনকী হাসপাতাল চত্বরেও মাস্কহীন মুখের দেখা মিলছে। এদিকে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৭ জন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন, জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। মানুষকে তবুও সচেতন থাকতে হবে। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।