কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিজগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪টি ক্যাম্প করে চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কথা ছিল সিজগ্রাম মওলা সঙ্ঘ মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের। প্রতিটি ক্যাম্পে ৩০ জন করে চাষি সেখানে ১০ কুইন্টাল করে ধান বিক্রি করতে পারতেন। চাষিদের অভিযোগ, ১৪টির মধ্যে একটিও ক্যাম্প করা হয়নি। ক্যাম্পের গোটা বিষয়টি কাগজে কলমে দেখানো হয়েছে। তাই এনিয়ে চাষিদের একাংশ বিডিওকে অভিযোগ করে।
অভিযোগকারী আব্দুল শেখ বলেন, ওই সমবায়ের পক্ষে ফড়েদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে। অথচ চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। প্রকৃত চাষিরা ধান বিক্রি করতে পারেননি। সব মিলিয়ে প্রায় ৭৩ লক্ষ টাকার অনিয়ম হয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছি।
এনিয়ে সমবায় সমিতির সভানেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। কোভিড ভ্যাকসিনের ক্যাম্পে ব্যস্ত রয়েছেন বলে তিনি জানান। পরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। যদিও এরপর তাঁকে বহুবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। অভিযোগকারী চাষিদের একাংশের বক্তব্য, ঘটনায় ওই সমবায়ের সদস্যদের সঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রধানও জড়িত রয়েছেন।
যদিও সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাসমিনা বেগম বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। ওই সমবায়ের পক্ষ থেকে কবে, কোথায়, কীভাবে ধান কেনা হবে, তা আমাকে জানানো হয়নি। বরং আমি বিডিওকে চিঠি দিয়ে ধান কেনার ক্যাম্পের বিষয়টি জানতে চেয়েছি।
যদিও চাষিদের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েত প্রধান বিডিও-র কাছে যে ক্যাম্পের কথা জানতে চেয়েছেন, সেটি চলতি মাসের ক্যাম্পের বিষয়ে। কিন্তু, ওই ১৪টি ক্যাম্প ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে হওয়ার কথা ছিল।