বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১৬ সাল থেকে পাঁচ বছর তমলুক জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির কোনও বৈঠক হয়নি। রাজ্যের তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী ওই সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন। কীভাবে বৈঠক ছাড়াই পাঁচ বছর হাসপাতালের কাজকর্ম চলেছে, সেটাই জানতে চেয়েছেন সৌমেনবাবু। পরবর্তী মিটিংয়ে পাঁচ বছরের গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান জমা করতে হবে। এর বাইরেও শুক্রবারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একগুচ্ছ পরামর্শ এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন চিকিৎসকের পারফরম্যান্স নিয়ে সুপারকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করান জেলাশাসক। কোনও কোনও চিকিৎসক তিন মাসে এক-দু’টি অপারেশন করেছেন। চিকিৎসকদের একাংশ হাসপাতালে কম সময় দেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে এদিনের বৈঠকে প্রশ্ন ওঠে।
এই মুহূর্তে হাসপাতালের মর্গে ৯০টি দাবিদারহীন দেহ পড়ে রয়েছে। এনিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রোগীর পরিবারের সদস্যদের রাত্রিকালীন থাকার জায়গার অবস্থা শোচনীয়। এনিয়েও বরাত পাওয়া সংস্থাকে উদ্যোগী হতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাসপাতালের যত্রতত্র সাইকেল, মোটর সাইকেল পার্কিং করা হয়। নির্দিষ্ট পার্কিং জোন থাকা সত্ত্বেও কেন এমনটা হচ্ছে, তা নিয়ে পুলিস টহল দেবে। হাসপাতালে মা ক্যান্টিন চালু করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে মেডিক্যাল কলেজের বিল্ডিং তৈরির কাজ চলছে। যথেচ্ছ খোঁড়াখুঁড়ির জন্য গত বছর বর্ষায় নিকাশির বেহাল ছবি দেখা গিয়েছিল। এবার বর্ষার আগে নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক করতে হবে বলে নির্মাণকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ডিআরডব্লু(ডেইলি রেটেড ওয়ার্কার) কর্মীদের দু’-তিন মাস পারিশ্রমিক এখনও বকেয়া। এই সমস্যা মিটিয়ে তাঁদের পারিশ্রমিক যাতে প্রতি মাস হয়, সেজন্য স্বাস্থ্যভবনে চিঠি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সৌমেনবাবু বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ’২১ পর্যন্ত রোগী কল্যাণ সমিতির একটিও মিটিং হয়নি। বিধানসভা ভোটের আগে আমাকে সমিতির চেয়ারম্যান করা হয়। তখন একটি মিটিং হয়। তারপর ভোটের জন্য ওই পদ থেকে ইস্তফা দিই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার আমাকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করেছেন। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। গত পাঁচ বছর কীভাবে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল এবং রূপায়ণ হল সেটা জানতেই খতিয়ান চেয়েছি। আগামী মিটিংয়ে সেটা জমা করতে বলা হয়েছে।