সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: সারা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর  জেলাতেও এখন স্কুল পড়ুয়াদের টিকাকরণ চলছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর জেলায় প্রায় দেড় লক্ষ স্কুল পড়ুয়ার টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। সিএমওএইচ ভূবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, জেলায় ১৫-১৮ বছর বয়সি ২ লক্ষ ৫২ হাজার পড়ুয়াকে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬০ শতাংশের বেশি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮০ শতাংশ হয়েছে শহরাঞ্চলে। তিনি বলেন, টিকাকরণের দ্বিতীয় ডোজেও এখন ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় ৬০ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের সচেতন করতে জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষদের একাধিক ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 
শুক্রবার শালবনী ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিং আশাকর্মী সহ স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধি, ক্লাব ও সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। যাঁরা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, কিন্তু এখনও দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া নিশ্চিত করতে এদিন সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। এদিকে ডেবরায় স্কুল পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পর চিহ্নিত করে দেওয়া  হচ্ছে। বিএমওএইচ আরিফ হাসান বলেন, পোলিও এবং ভোট দেওয়ার পর যেভাবে আঙুলে কালি দিয়ে দেওয়া হয়, সেভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়বার আর যাতে টিকাকরণ না হয়ে যায়, তার জন্যই এই সতর্কতা। 
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সংক্রমণের হার সামান্য বেড়েছে। তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গত বুধবার ২০৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৩ জনের রিপোর্টে পজিটিভ পাওয়া যায়। পজিটিভিটির হার ছিল ০৫.৪৬ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ২১৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৮ জনের রিপোর্টে পজিটিভ পাওয়া যায়। পজিটিভিটির হার ০৫.৫৩ শতাংশ। তবে এই সময়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। 
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায়  করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫৩৩। হোম আইসোলেশনে আছেন ২১৯৩ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২২১৮ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৪৬ জন। সুস্থতার হার ৯৩.৬৯ শতাংশ। ওই আধিকারিক বলেন, গত দশ দিনে জেলায় ২০ হাজার ৮১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২১২০ জনের পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১৮১৮ জন।