কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, দল এমন লোকদের দায়িত্ব দিয়েছে যাঁদের বিজেপি সম্বন্ধে কোনও ধারণাই নেই। দলে অনেক উপযুক্ত পুরনো কার্যকর্তা রয়েছেন। তাই বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদলের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় বিজেপির জেলা সভাপতি বদল করা হয়। নতুন সভাপতিদের নাম দেখে কার্যত ভেঙে পড়ে দলের একাংশ। সেই সময় বিধায়কদের অনেকেই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন। সেই তালিকায় বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার চারজন বিধায়ক ছিলেন। এবার দলের বিধায়করা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সরাসরি সভাপতি বদলের আর্জি জানালেন। পুরভোটের আগে এই ঘটনায় কর্মী সমর্থকদের মনোবলে চিড় ধরবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা সভাপতি বদলের আর্জির প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, দলের অনেক পুরনো কার্যকর্তা রয়েছেন। তাঁদের গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে নবাগতদেরও কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রত্যেককে হাত ধরাধরি করে কাজ করতে হবে। সেই আশা রেখেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জেলার সকল বিধায়ক মিলে সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিন নীলাদ্রিবাবু সংবাদ মাধ্যমে জানান, যিনিই সভাপতি হন, তাঁকে ধারে-ভারে অভিজ্ঞ হতে হবে। কিন্তু, সভাপতি যদি অন্যের ইশারায় চলব মনে করেন, তাতে দল চলবে না। তাঁর নিজের উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে রণকৌশল তৈরি করে বৈতরণী পার করতে হবে। তৃণমূলের চমকানিকে পরাস্ত করতে সততার সঙ্গে শক্তিধর সভাপতি হওয়া প্রয়োজন।
পুরুলিয়ায় সংবাদ মাধ্যমের কাছে চিঠির প্রসঙ্গ বিজেপি বিধায়করা অস্বীকার করলেও দলীয় কর্মীদের মধ্যে এনিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। চিঠি পাঠানোর ব্যাপারে সরাসরি কোনও উত্তর না দিয়ে জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাত বলেন, দলের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা দলের মধ্যেই মিটে যাবে।
যাঁকে অপসারণের জন্য চিঠি দেওয়ার খবর ঘিরে আলোড়ন পড়েছে পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সেই সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, এরকম কোনও চিঠির সত্যতা আছে বলে আমার মনে হয় না। বিধায়কদের সবাই আমার অভিভাবক। প্রতিদিন তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। তৃণমূল মিথ্যা প্রচার করছে।
তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ওদের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই তৃণমূলের নাম জড়িয়ে মিথ্যা কথা বলছে।