কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ শহরে রয়েছে নবাবি আমলের হাজারদুয়ারি প্যালেস, কাটরা মসজিদ সহ একাধিক স্থাপত্য। এই সমস্ত স্থাপত্যের টানেই দেশ বিদেশের পর্যটকরা মুর্শিদাবাদ শহরে আসেন। কিন্তু বাম আমলে সরকারের উদাসীনতায় মুর্শিদাবাদ শহর তার জৌলুস হারাতে শুরু করে। ২০১১ সালে পরিবর্তনের পরে বর্তমান সরকার মুর্শিদাবাদকে রাজ্য তথা দেশের পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে। রাজ্য সরকারের গ্রিন সিটি প্রকল্পে ইতিহাসের শহরকে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগ নেয় মুর্শিদাবাদ পুরসভা। মুর্শিদাবাদ শহরে ঢোকার মুখে রাস্তার পাশে বাঁদিকে লোহার রেলিং ঘিরে স্বাধীনতা সংগ্রামের বেশ কয়েকজন মহান যোদ্ধার মূর্তি বসানো হয়েছে। প্রথমেই রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ডান্ডি অভিযানের ভাস্কর্য। দ্বিতীয় অংশে রয়েছেন ক্ষুদিরাম, মাতঙ্গিনী হাজরা এবং ভগত সিং। এরপরে রয়েছে বিনয়-বাদল-দীনেশের মূর্তি। রয়েছে গান্ধীবুড়ি নামে ইতিহাস খ্যাত মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রিন সিটি প্রকল্পে নবাবি শহরের সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। যার অঙ্গ স্বাধীনতা যোদ্ধাদের মূর্তিগুলি। শহরকে সাজিয়ে তোলার পুরসভার উদ্যোগকে শহরের সর্বস্তরের মানুষ সাধুবাদ জানালেও মূর্তিগুলির অবমাননায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ তাঁরা। শহরের বাসিন্দা বীরেশ দাস বলেন, পুরসভার নজরদারির অভাবে মূর্তিগুলির উপরে পুরু ধুলোর আস্তরণ পড়েছে। মূর্তিগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে পুরসভার যত্নবান হওয়া উচিত। শহরের অপর এক বাসিন্দা সন্দীপ অধিকারী বলেন, মূর্তিগুলি নিয়মিত পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভাকে উদ্যোগী হতে হবে। তা না হলে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান মনীষীদের অবমাননা হবে। মুর্শিদাবাদ পুরসভার প্রশাসক ললিতা নন্দী দাস বলেন, রাস্তাটি মুর্শিদাবাদ শহরে প্রবেশের মূল পথ। কাজেই ২৪ ঘণ্টাই ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। সেই কারণে রাস্তার ধুলো উড়ে জমছে। তবে পুরসভার পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করা হয়। পুরসভা বিষয়টির প্রতি আরও যত্নবান হবে।