গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাজ্যের সঙ্গে এই জেলাতেও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিল এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন স্কুলগুলির একটা বৃহত্তর অংশের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশন করান বলে অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গ প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বলেন, স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা মোটা অঙ্কের টাকার বেতন পান। তারপরও ছাত্রছাত্রীদের প্র্যাকটিক্যাল, প্রজেক্ট, পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছে টিউশন পড়তে বাধ্য করান। অন্যদিকে বহু বেকার যুবক-যুবতী চাকরি না পেয়ে টিউশনকে পেশা করেছেন। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশন করার ফলে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসতে চায় না। ওই সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আহ্বায়ক অমর ঘোষ বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনকে মান্যতা দিয়ে রাজ্য সরকার কয়েক বছর আগেই স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন পড়ানো বন্ধ করার জন্য সরকারি ভাবে নির্দেশ জারি করেছে। কিন্তু সেই নির্দেশ কেউই মানছেন না। জেলা বিদ্যালয় পরির্দশকের এই নির্দেশিকা অনেকটাই কাজ দেবে বলে আশা রাখি।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের ওই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন দাসপুর-২ ব্লকের সোনাখালি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মালবিকা পাল। তিনি বলেন, স্কুলের ক্লাসেই ছাত্রছাত্রীদের বিষয়টি বুঝিয়ে দিতে পারলে কোনও রকম টিউশনের দরকার হয় না। সেটা সব ক্ষেত্রে হয় না বলে ছাত্রছাত্রীদের আলাদা করে টিউশন পড়তে হয়। তবে আমি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশনকে কোনও ভাবেই সমর্থন করি না। একই অভিমত প্রকাশ করেছেন তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের নেতা তথা দাসপুর-২ ব্লকের বরুণা সৎসঙ্গ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা মোটা অঙ্কের বেতন পাচ্ছেন, তাঁদের প্রাইভেট টিউশন করা উচিত নয়। আর কোনও ছাত্রছাত্রীর প্রয়োজন হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সেটা বিনামূল্যেই দেখিয়ে দেওয়া উচিত।
ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ ভুঁইয়া বলেন, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের নির্দেশ এখনও পাইনি। যদি তিনি এই ধরনের নির্দেশ দিয়ে থাকেন তাহলে খুব ভালো করেছেন। পঞ্চজবাবু বলেন, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের নির্দেশ জারি হওয়ার আগে আমরাও টিউশন করতাম। সরকার যেদিন থেকে ঘোষণা করেছেন, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন করা যাবে না সেদিন থেকেই আমি এবং স্কুল শিক্ষক বন্ধুবান্ধবেরা প্রাইভেট টিউশন ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু দুভার্গ্য অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা সেই নির্দেশিকাকে অমান্য করে এখনও প্রাইভেট টিউশন করছেন। এনিয়ে শিক্ষা দপ্তরের আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।