কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে বাঁকুড়া দক্ষিণ বন বিভাগ এলাকায় হাতির একটি দল ঢুকে তাণ্ডব চালায়। তারপর দলটি ধীরে ধীরে তালডাংরা, ইন্দপুরের দিকে ঢোকে। সেখান থেকে বাঁকুড়া শহরের উপকণ্ঠে রাজগ্রামের গা ঘেঁষে ছাতনা ব্লক এলাকায় চলে যায়। হাতির দলটি ছাতনা ব্লক সদরের দু’কিমি দূরে বাবুপাড়া এলাকায় কেঞ্জাকুড়া যাওয়ার রাস্তার ধারে একটি ছোট জঙ্গলে আস্তানা গাড়ে। সেই দলে চারটি শাবকও রয়েছে। সকাল থেকে হাতির দলকে চাক্ষুষ করতে কাতারে কাতারে মানুষ সেখানে ভিড় করতে থাকেন। সেই ভিড়ের মধ্যেই হাতির সামনে পড়ে যান অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক তথা বাম আমলের প্রাক্তন প্রধান ভবতোষবাবু। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যালের মর্গে পাঠায়। এছাড়া ওই গ্রামেরই স্বপন ভুঁই ও বিদ্যুৎ বাউরি জখম হন। তাঁরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনায় ভবতোষবাবুর বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যু ও জখম হওয়ার পর বাসিন্দাদের হুঁশ ফেরে। প্রশাসনের তরফেও মাইকিং করে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়।
মৃত ভবতোষবাবুর ছেলে অভিজিৎ শীট বলেন, অনেকের সঙ্গেই বাবা বাড়ির বাইরে ছিলেন। হাতি দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। উল্লেখ্য, বনদপ্তরের ভাষায় ছাতনা ব্লক এলাকায় তেমন বনাঞ্চল নেই। তাই হাতি এই এলাকায় সেইভাবে যায় না। কিন্তু, হঠাৎ করেই ওই রাতে ব্লক এলাকায় হাতির দল ঢুকে পড়ে। এতে বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, বিগত কয়েক বছরে ছাতনা এলাকায় হাতি দেখা যায়নি। এদিন একসঙ্গে এতগুলি হাতির দল চলে আসায় আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। এদিকে বাঁকুড়া শহর ও ছাতনা ব্লক সদরকে রক্ষা করতে এদিন বনদপ্তরের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন রেঞ্জ এলাকা থেকে আনা হয় প্রশিক্ষিত হুলা পার্টির সদস্যদের। ঘটনাস্থলে বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের ডিএফও কল্যাণ রাই সহ অন্যান্য আধিকারিকরা যান। এছাড়া ব্যাপক পুলিস মোতায়েন করা হয়। বাঁকুড়ার ডিএসপি(ডিঅ্যান্ডটি) সুপ্রকাশ দাস ঘটনাস্থল ঘুরে উৎসুক জনতাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ডিএফও বলেন, হাতির দলটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ম্যানেজমেন্ট টিম কাজ করছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাতির যাতায়াত কার্যত তাদের মুডের উপর নির্ভর করে। অনেক সময় হাতি অফ রুটে চলে যায়। তবে তাদের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফের সে তার নিজস্ব চেনা পথে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ছাতনার বাবুপাড়া এলাকার জঙ্গলে হাতি দেখতে ভিড়। -নিজস্ব চিত্র