রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গত ২৯ডিসেম্বর মেচেদা স্টেশন লাগোয়া কোলাঘাট থানার গোপালগঞ্জ প্রিয়নাথ বাণীভবন হাইস্কুলে তালা ভেঙে দু’টি কম্পিউটার, নগদ টাকা ও বেশকিছু সামগ্রী চুরি হয়। প্রধান শিক্ষক প্রণব ভট্টাচার্য এনিয়ে কোলাঘাট থানায় এফআইআর করেছেন। ২৮নভেম্বর রাতে পাঁশকুড়া থানার প্রতাপপুর ২নম্বর জুনিয়র বেসিক স্কুলের রান্নাঘর থেকে দু’টি গ্যাস সিলিন্ডার, ৫৩কেজি মিড-ডে মিলের চাল সহ মোট ১০রকম রান্নার সরঞ্জাম খোয়া গিয়েছে। প্রধান শিক্ষক সনৎকুমার চক্রবর্তী পাঁশকুড়া থানায় এনিয়ে এফআইআর করেন।
গত ৬ডিসেম্বর ভূপতিনগর থানার জুখিয়া কুঙুর নারায়ণ বাণীমন্দির হাইস্কুলে তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে প্রধান শিক্ষকের ঘর থেকে দু’টি কম্পিউটার, আলমারি ভেঙে নগদ ৩০হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। প্রধান শিক্ষক অসীমকুমার পাত্র এনিয়ে ভূপতিনগর থানায় এফআইআর করেছেন। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বন্যায় ভূপতিনগর থানা ডুবে যাওয়ায় ওই স্কুলে এক মাস ধরে অস্থায়ী থানা হয়েছিল।
গত ১০নভেম্বর তমলুক ব্লকের রাজনগর পুতপুতিয়া এসসি হাইস্কুলের অফিসঘর, স্টাফরুম, ম্যানেজিং কমিটির অফিসঘরের তালা ভেঙে রাঁধুনিদের পারিশ্রমিক সমেত জমা থাকা নগদ ১লক্ষ ২৫হাজার টাকা খোয়া যায়। সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক চুরি করে দুষ্কৃতীরা। টিচার ইনচার্জ গোপালচন্দ্র দাস এনিয়ে তমলুক থানায় এফআইআর করেন। ১৫নভেম্বর তমলুক কলেজে বয়েজ হস্টেল থেকে চারটি গ্যাস সিলিন্ডার সহ মোট ১৬রকম রান্নার সামগ্রী খোয়া গিয়েছে। ডাইনিং হলের গেটে তালা ভেঙে চুরি হয়। কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন ২৬নভেম্বর এনিয়ে তমলুক থানায় এফআইআর করেন।
হলদিয়া, কাঁথি ও এগরার বেশকিছু স্কুলেও একই কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। টানা দু’বছর প্রাইমারি ও জুনিয়র হাইস্কুল বন্ধ। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল মাঝে কিছু সময়ের জন্য খুললেও আবারও তালাবন্দি। এই অবস্থায় স্কুলের তালা ভেঙে সেখান থেকে নগদ টাকা, কম্পিউটার ও রান্নার সামগ্রী খোয়া যাচ্ছে। গত তিন-চার মাসে এধরনের ঘটনা বেশি করে ঘটছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) শুভাশিস মিত্র বলেন, এধরনের ঘটনা আটকাতে স্কুল সংলগ্ন এলাকার মানুষজনকে একটু নজরদারি করতে হবে। স্কুলের বিরাট কোনও সম্পদ থাকে না। যারা নিচ্ছে তারা বিরাট কিছু নিয়ে পালাচ্ছে এমনটা নয়। কিন্তু, এই কাজটা মোটেও ঠিক নয়। বিভিন্ন সামগ্রী চুরি যাওয়ায় স্কুল খুললে সমস্যা হবে। পুলিস সুপার অমরনাথ কে বলেন, থানায় যেসব অভিযোগ আসছে তার ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। এধরনের ঘটনা আটকাতে আমরা যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছি।