নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া:১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণে শতাংশের নিরিখে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা। জেলায় দ্রুত টিকাকরণের প্রথম ডোজ দেওয়ার কর্মসূচি শেষ করতে তোড়জোড় শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। রাজ্যে শীর্ষ স্থানে থাকার খবর জানিয়েছেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার। তবে জেলায় করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে এখনও বহু বাসিন্দা বাকি আছেন। তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখের আগেই কুপন বা নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, জেলায় ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী পড়ুয়াদের টিকাকরণের টার্গেট রয়েছে ২ লক্ষ ৫হাজার ৪৫৬জনের। গত ১৮ জানুয়ারির রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় টিকা পেয়েছে ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৪১জন। জেলার নিরিখে বাঁকুড়ায় প্রায় ৮২ শতাংশ পড়ুয়াদের টিকাকরণ করা হয়েছে। যা রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বলে আধিকারিকদের দাবি। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি ছাত্রছাত্রীদের টিকাকরণের নিরিখে রাজ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাঁকুড়া। বাকি পড়ুয়ারা যাতে টিকা পেয়ে যায় তারজন্য আরও গতি আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকদিন প্রতি ব্লকে একাধিক স্কুলে ক্যাম্প করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের সঙ্গে বাঁকুড়াতেও ছাত্রছাত্রীদের টিকাকরণের কর্মসূচি শুরু হয়। বেশিরভাগ স্কুল চত্বরেই শিবির করে পড়ুয়াদের টিকা দেওয়া হয়। তার ভিত্তিতেই বেশি সংখ্যক পড়ুয়া টিকা পেয়েছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। তবে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মধ্যেও সাড়া পাওয়া গিয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। বাঁকুড়া-১ ব্লকের বিএমওএইচ অরিজিৎ মণ্ডল বলেন, এই ব্লকে বেশিরভাগ পড়ুয়া টিকা পেয়েছে। টিকাকরণের আগে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। সময়মতো খবর পেয়ে অভিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়েছেন।
এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, স্কুলে পড়ে না এমন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি কিশোরদের খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাদের সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া যেসব পড়ুয়া ভিন জেলায় থাকেন। বাঁকুড়ায় কোনও হস্টেলে থেকে যারা পড়াশোনা করে তাদের টিকাকরণেও আলাদা নজর রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলার বেশিরভাগ ব্লকেই পড়ুয়াদের প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রথম ডোজে সাফল্য এলেও বাঁকুড়ায় ১৮ ঊর্ধ্বদের এখনও দ্বিতীয় ডোজ নিতে অনীহা রয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে ২৮ ও ৮৪ দিনের আগেই সংশ্লিষ্ট টিকা গ্রাহককে কুপন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে টিকা নেওয়ার তারিখের আগে সেই গ্রাহক এব্যাপারে সতর্ক হতে পারেন। তাহলে দ্বিতীয় ডোজ বাকি থাকার তালিকা অনেকটা কমানো সম্ভব হবে। একইসঙ্গে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও চালানো হচ্ছে।