কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মঙ্গলবার সকালে খুনের সময়ই এলাকার মাদক কারবার নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ টের পাওয়া যায়। এক পড়শি প্রকাশ্যে অন্য পড়শিকে ছাগল কাটার মতো করে কুপিয়েছে। তারপর থেকেই এলাকার মহিলাদের দাবি, যেভাবে এই খুন হয়েছে, তা কোনও সুস্থ মানুষ তা করতে পারবে না। মাদক সেবনের ফলে যুবকদের মনুষত্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চাবি মোড়ে নয়া বস্তি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। সেখানেই এক ছোট ঝুপড়িতে গুমটি রয়েছে। সেই গুমটিই রাতারাতি ভোল পাল্টে ফেলেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাত হলে রঙিন হয়ে ওঠে চাবি মোড়। বার্নপুরের নানা প্রান্তের নেশাখোর ভিড় জমায় এখানে। গাঁজা সহ বিভিন্ন প্রকার মাদক এখানে পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুধু এই এলাকাই নয়, রহমতনগরে একাধিক এমন গুমটি রয়েছে যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক কারবার হয় দিনে। অনেক গুমটি মালিক সেই টাকায় গড়ে তুলছে বড় বড় বাড়ি। মার্বেল বসানো বাড়ি দেখলে চোখ কপালে উঠবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতভর এই কারবার চলে। এতে এলাকার মহিলাদের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে শুধু যে পুরুষরা এই কারবার করছে তা নয়, মহিলারাও এখন এই কারবারে হাত পাকিয়েছে। তারাও মাদক সরবরাহ করছে। মহিলারা মাদক সরবরাহ করায় এলাকার অনেক যুবতী ধীরে ধীরে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এই ঘটনা তাঁদের অভিভাবকদের চিন্তা বাড়ছে। নাসিমা খাতুন, ফিরোজা বিধি, শামিমা বলেন, প্রকাশ্যে মুখ খুললে বিপদ আসতে পারে। তাও বলছি, মাদক কারবার আমাদের এলাকাকে শেষ করে দিচ্ছে। এখনই কড়া পদক্ষেপ না হলে মা বোনদের সম্মান থাকবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুমটির আড়ালে নির্মীয়মাণ দোকান ঘর, স্কুল বিল্ডিংয়ের আড়ালে এই কারবার চলে। তবে, চক্রের মাথা অনেক উপরে। সবাইকে সেটিং করেই চলছে কারবার। উজাড় হয়ে যাচ্ছে বহু পরিবার।