পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পেঁয়াজ মূলত উঁচু জমিতে যেখানে জল দাঁড়ায় না সেই এলাকায় চাষ করা হয়। বীরভূম জেলায় এমন অনেক জমি রয়েছে, যেখানে পর্যাপ্ত জল না দাঁড়ানোয় ধান চাষ করা সম্ভব হয় না। ফলে সেইসব এলাকার চাষিরা পুকুর অথবা ক্যানেলের জল জমিতে এনে ধান চাষের চেষ্টা করলেও হয় চাষে খুব ব্যয় হয়ে যায় অথবা মাঝপথে অনেক ধান মরে যায়। তাই এইসমস্ত চাষিদের ক্ষেত্রে নাসিকের পেঁয়াজ চাষ খুবই লাভজনক হবে বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। এই পেঁয়াজ মূলত জুলাই-আগস্ট মাসে লাগানো হয়। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ফলন তোলা হয়। কম জল দিয়ে অনায়াসে এই পেঁয়াজ চাষ করা যায়। তার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নাসিক থেকে এই পেঁয়াজ চাষের জন্য বীজ আমদানি করা হবে।
জানা গিয়েছে, বিঘা প্রতি এই পেঁয়াজ চাষ করতে এক কেজি করে বীজ প্রয়োজন হয়। তাই ৫০০বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে ৫০০ কেজি বীজের আমদানি করবে জেলা উদ্যানপালন দপ্তর। সরকারি নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের বীজের দাম ২২৫০ টাকা। যদিও বীজ কেনার জন্য চাষিদের কোনও টাকা দিতে হবে না। উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলার সিউড়ি-১, সিউড়ি-২, মহম্মদবাজার, রাজনগর, দুবরাজপুর, খয়রাশোল প্রভৃতি জায়গায় এই পেঁয়াজ চাষের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। এই এলাকায় উঁচু জমি থাকার কারণে জমিতে জল দাঁড়াতে পারে না। ফলে অল্প জলের মধ্যে অধিকাংশ জায়গায় ধান চাষ করা সম্ভব হয় না। সেই কারণে সেখানকার চাষিরা বিকল্প চাষের উপায় হিসেবে নাসিকের পেঁয়াজ চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পারবেন। বিঘা প্রতি এই পেঁয়াজ চাষ করলে চাষিদের ২০-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হবে। বীরভূম জেলায় অন্যান্য প্রজাতির পেঁয়াজ চাষ আগে থেকেই হয়। কিন্তু এবার নাসিকের পেঁয়াজ চাষ হবে।
জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, বীরভূম জেলাকে আত্মনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তারমধ্যে জেলায় নাসিকের পেঁয়াজ চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী মরশুমে এই জেলায় প্রায় ৫০০বিঘা জমিতে নাসিকের পেঁয়াজ চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই চাষ করে চাষিরা লাভের মুখ দেখবেন।