ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
সম্প্রতি পুরুলিয়ার জেলা প্রশাসন সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের নিয়ে শহরের রবীন্দ্রভবনে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেই বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে আটকে থাকা টাকার বিষয়টি উঠে আসে। উন্নয়নের কাজ হওয়ার পরিবর্তে কেন টাকা পড়ে রয়েছে, সেই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীদের কাছে জানতে চান। ওই বৈঠকেই পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) মুফতি সামিম সৌকত বলেন, গড়ে প্রায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এক কোটি টাকা করে পড়ে রয়েছে। কাজ হয়নি। এটা ব্যর্থতা। ব্যক্তিগতভাবে কেউ একা দোষী না হলেও সমষ্টিগতভাবে সকলেই দোষী। নন পারফরমেন্সের জন্য আমরা সকলে দায়ী। জেলার ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ফিনান্স কমিশনের পুরনো এবং এবছরের টাকা পড়ে রয়েছে। অথচ কাজ করতে পারছেন না কর্মীরা। গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কেউ স্থায়ী নন। কাজের পদ্ধতি আপনাদের মতো তাঁদের বোঝা সম্ভব না। তাই এই সমস্যা রাজনৈতিক বলে এড়ানো যাবে না। সমস্যাটিকে সমস্যা বলেই মানতে হবে।
পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার অবশ্য বলেন, এটা গাফিলতির কিছু না। টাকা আসা, খরচ করা, টাকা পড়ে থাকা এটা প্রশাসনিক কর্মসূচির মধ্যেই পড়ে। জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদের গত কয়েকমাস ধরেই মনিটারিং চলছে। আশানুরূপ খরচ হয়নি একথা ঠিক। তবে গত কয়েকমাসে খরচটা বেড়েছে।
জেলাশাসক আরও বলেন, শুধু নির্মাণ সহায়কদের দায়ী করা ঠিক হবে না। কোভিডের জন্য কাজ থমকে ছিল। গ্রাম পঞ্চায়েতে অনেক কাজ। কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে ঢিলেমি থাকতে পারে, তবে সেটাকে সামগ্রিক ভাবলে ভুল হবে। বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙা বলেন, কোভিডের দোষ দেওয়া ঠিক না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং কাটমানির ভাগ নিয়ে সমস্যাতেই আটকে আছে টাকা। বিজেপি শাসিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। টাকা ফিরে গেলে তার একমাত্র দায় তৃণমূলের। গ্রাম গঞ্জে কত কাজ বাকি রয়েছে।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আইএসজিপি এবং পঞ্চদশ অর্থকমিশনের গত প্রায় দু’বছরের ওই টাকা। বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানদের সক্ষমতার অভাব এবং কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক এবং ইএরা গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিজেদের মতো করে চালাতে গিয়েই সমস্যা বাড়ছে। অনেকে ক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এড়িয়ে কাজ করতে চাইছেন কর্মীরা। ফলে সংঘাতও হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা অবশ্যই উদ্বিগ্ন। জেলাশাসক সহ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলাশাসক বিষয়টি দেখছেন। তিনি আরও বলেন, ওই টাকা জেলার উন্নয়নের টাকা। তাই দ্রুত ওই টাকা খরচ করতে হবে। একদিকে জেলা পরিষদের ভাঁড়ার শূন্য, অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে টাকা পড়ে রয়েছে, এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যের।