কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের ডিএমসিএইচও বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, পুরুলিয়া জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৯৬ জন। তারমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন মাত্র ৭ লক্ষ ৭ হাজার ৭১৩ জন। করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু মানুষের অনীহা দেখা দিয়েছে। তবে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও বিভিন্ন স্তরের স্বাস্থ্য কর্মীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়েও ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। বিশেষ ক্যাম্পও করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রবিবার নিজে রঘুনাথপুর,হাড়মাড্ডি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি তদারকি করেছি।
অন্যদিকে পুরুলিয়া পুরসভা এলাকায় ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ লক্ষ ৩হাজার ৬৬৩ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭৭ হাজার ৪৩০ জন। এবিষয়ে পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত বক্সি বলেন, পুরুলিয়া শহরেও প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা ব্যবধান রয়েছে। তবে কারা ভ্যাকসিন নেননি, কারা দ্বিতীয় ডোজ নেননি সেবিষয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। সেই সমীক্ষা থেকে উঠে আসা তথ্য ও পুরসভার কাছে থাকা প্রথম ডোজ প্রাপকদের তথ্য মিলিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ ক্যাম্প মাঝে মাঝেই হচ্ছে। তবে যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাঁদের মোবাইলে পুরসভার পক্ষ থেকে ফোনও করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজ কেন তাঁরা নেননি, সেবিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই প্রথম ডোজ পুরুলিয়া পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে নিলেও পরের ডোজ বাইরে কোথাও নিয়েছেন। কেউ কেউ আবার ভিন জেলায় নিয়েছেন। অনেকে আবার বেসরকারি সংস্থা থেকে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। ফোন করে পাওয়া তথ্য আপলোড করা হচ্ছে। তবে যাঁরা বাকি থেকে গিয়েছেন তাঁদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে বলা হচ্ছে।