সংবাদদাতা, কান্দি: মানসিক অবসাদে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রৌঢ় আত্মঘাতী হলেন। এদিকে বাবার দেহ বাড়িতে আনতেই শোকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন প্রতিবন্ধী ছেলেও। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শনিবার সকালে খড়গ্রাম থানার দুনিগ্রামে শোকের ছায়া নামে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন বুদ্ধদেব মণ্ডল(৫৩) ও অন্তু মণ্ডল(২২)। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে বুদ্ধদেববাবুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুদ্ধদেববাবু চাষাবাদ করতেন। অনেক সময় দিনমজুরি করেও সংসার চালাতেন। কয়েক বছর আগেই একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বাড়িতে স্ত্রী উত্তরা মণ্ডল, বড় ছেলে ও ছোট ছেলে অন্তু ছিল। অন্তু হাঁটাচলা করতে পারতেন না। বেশিরভাগ সময় বিছানাতেই কাটাতে হতো। তার উপর কয়েকমাস ধরে স্ত্রীও অসুস্থ রয়েছেন। প্রতিবেশী শ্রীমন্ত সূত্রধর বলেন, দুর্গাপুজোর সময় পড়ে গিয়ে বুদ্ধদেববাবুর স্ত্রীর কোমরের হাড় ভেঙে যায়। চিকিৎসা করানো হলেও শয্যাশায়ী হয়ে রয়েছেন। কিছুদিন ধরেই বুদ্ধদেববাবু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এদিন সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির পিছনের গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবেশীরা পুলিসে খবর দেন। এলাকার বাসিন্দারা গাছ থেকে দেহ নামিয়ে বাড়িতে আনেন। সেইসময় প্রতিবন্ধী ছেলে কাঁদার সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক জানান। এই ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বুদ্ধদেববাবুর ছেলে সন্তু মণ্ডল বলেন, বাড়িতে একের পর এক ঘটনায় দুশ্চিন্তা ছিল। তাই বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। সেই শোক সামলাতে পারেনি ভাই। খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কু মণ্ডল বলেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সবরকম সাহায্য করব।