রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে গোপালচক গ্রামের জুলেখার সঙ্গে লাগোয়া গোপালপুর গ্রামের আলি আজমির শেখের বিয়ে হয়। আলি আজমির পেশায় দিনমজুর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে সন্দেহ করে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী ও শাশুড়ি। মাস চারেক আগে সেই অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে প্রায়ই রাতে গৃহবধূকে মারধর করত আলি আজমির। অবশেষে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে মাস তিনেক আগে রামপুরহাট আদালতে স্বামীকে ডিভোর্স দেয় জুলেখা। এরপর রাজমিস্ত্রির কাজে মহারাষ্ট্রে চলে যায় আলি আজমির। গোপালচকে থাকতে শুরু করেন জুলেখা। যদিও কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের ফোনে জুলেখার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে ওই যুবক। তাঁকে ফিরে আসার জন্য বলা হয়। মৃতার মা তর্জিনা বিবি বলেন, মেয়ে যেতে রাজি হয়নি। এরইমধ্যে দিন কয়েক আগে আলি আজমির গ্রামে ফিরে আসে। সে জুলেখাকে ফোনে হুমকি দিয়ে বলে, বাড়ি না ফিরলে প্রাণে মেরে ফেলবে। তারপরও মেয়ে তার সঙ্গে সংসার করতে রাজি হয়নি।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ ঢেকে জুলেখার বাড়িতে ঢোকে আলি আজমির। সে জুলেখার বুকে ছুরি বসিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় জুলেখার পরিবারের লোকজনের চিৎকারে সে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যায়। এরপর চলে মারধর। পরে পুলিসের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে পরিবারের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় জুলেখাকে লাগোয়া মুর্শিদাবাদের পাঁচগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।