রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বোলপুরের ত্রিশূলাপট্টি থেকে নানুর যাওয়ার ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ছিল প্রথম থেকেই। এরপর রাস্তা সংস্কার ও চওড়ার কাজ শুরু করে পিডব্লিউডি। এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় সংস্কারের কাজ। ১০ মিটার চওড়া করা হয়েছে বলে জানা গেছে পিডাব্লিউডি সূত্রে। এই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা। পুরনো পিচ তোলা, কুচি পাথর বসিয়ে বুলডোজার দিয়ে প্রাথমিক কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল গত মার্চ মাসের মধ্যেই। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন কাজ বন্ধ হয়ে যায় কাজ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এরপর জুন মাস থেকে তা ফের শুরু হলেও বর্ষার কারণে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয় রাস্তা সংস্কারের কাজ।
উল্লেখ্য, এই রাস্তাতেই রয়েছে বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মতো গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি পরিষেবা কেন্দ্র। নানুর সহ আশেপাশে জেলার সাধারণ মানুষ চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে আসেন। সংস্কারের কাজ চলায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সে সমস্ত রোগীরাও। এমনকী, বোলপুর থেকেও হাসপাতাল যাতায়াত করতে হলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। বাস সহ অন্যান্য যানবাহনের চালকরা দুর্ঘটনা এড়াতে ধীর গতিতে চালাচ্ছেন। ফলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে রাস্তা খারাপ থাকার অভিযোগ তুলে বোলপুর থেকে মুলুক, বাসাপাড়া হয়ে ৩৮ কিলোমিটার ঘুরপথ ব্যবহার করছেন নানুর পৌঁছানোর জন্য। নানুরের বাসিন্দা শেখ ইমরান, কাজল মণ্ডল বলেন, সব্জি বিক্রির জন্য রোজ বোলপুর যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এই রাস্তায়। প্রতিদিন এভাবে যাতায়াত করে আমরা যারপরনাই বিরক্ত। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, দ্রুত রাস্তা তৈরির কাজ সম্পন্ন করে এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার।
পিডাব্লুডির বোলপুর মহকুমার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় রায় বলেন, বর্ষার প্রতিকূলতার জন্য কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি। দুর্গাপুজোর আগে খানাখন্দ মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু নিম্নচাপের বৃষ্টির কারণে ফের খানাখন্দগুলিকে বুঝিয়ে বুলডোজার চালিয়ে রাস্তা ব্যবহারের উপযোগী করা হয়েছে। এখন পিচ ঢালা শুধুমাত্র বাকি। সবকিছু ঠিকঠাক চললে প্রথমে বোলপুর থেকে ১২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হবে। এরপর ধাপে ধাপে কংক্রিটের সেতু, কালভার্টের কাজ সম্পন্ন করার পর আগামী ৬ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ ১৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষকে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।