বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন সকালে তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারে নামেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা শান্তিপুর উপনির্বাচনে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক মহুয়া মৈত্র। তাঁরা বেলঘড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালান। সন্ধ্যায় অভিনেতা বিধায়ক সোহম বাগআঁচড়া এলাকা থেকে হরিপুর পর্যন্ত রোড-শো করেন। অভিনেতাকে দেখার জন্য বিকেল থেকেই গ্রামের পিচ রাস্তার দু’ধারে ভিড় জমান স্থানীয়রা। যদিও এদিন বিকেলে শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে বাগআঁচড়া পর্যন্ত অভিনেতার পদযাত্রা করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল হয়। ফলে দলের কর্মীদের একাংশ ওই পদযাত্রায় অংশ নিতে পারেননি। ফলে অনেকেই মনোক্ষুণ্ণ হয়েছেন।
সকালে নির্দিষ্ট সময়ে প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে বেলঘড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার শুরু করেন মহুয়া। সাংসদকে কাছে পেয়ে অনেকেই ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেন। ভোটের প্রচার চালানোর পাশাপাশি সাংসদও অনেক মহিলাদের জড়িয়ে ধরেন। উল্লেখ্য, ছ’মাস আগে হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর কেন্দ্রটি শাসকদলের হাতছাড়া হয়েছিল। সেইসময় বেলঘড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে চার হাজার ৬২৩ ভোটে এগিয়ে থাকে বিজেপি প্রার্থী। তাই ওই ভোটের ব্যবধান কীভাবে এবারের নির্বাচনে ছাপিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়েও কর্মীদের পরামর্শ দেন সাংসদ। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি প্রকল্পের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে নির্বাচনে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোরবাবু বলেন, শান্তিপুরের নদী ভাঙন বর্তমানে বড় সমস্যা। একদিনে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে আমি কথা দিচ্ছি, নির্বাচনে জয়লাভের পর সুখে দুঃখে শান্তিপুরের পাশে থাকব।
এদিনও গেরুয়া শিবিরের ভাঙন অব্যাহত ছিল। হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অর্পিতা ভাওয়াল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে এলাকার প্রায় শতাধিক কর্মী-সমর্থকও এদিন তৃণমূলে যোগদান করেছেন। যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রত্না ঘোষ কর। ওই পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, বিজেপিতে থেকে এতদিন এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে পারিনি। যে কারণে মানুষের জন্য কাজ করতেই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছি। বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নৃসিংহপুর, নতুনহাট, গুপ্তিপাড়াঘাট প্রভৃতি এলাকায় প্রচার চালান। তিনি বলেন, সরকারি প্রকল্পে অনিয়মের বিরুদ্ধে মানুষ এবার রায় দেবে। তাছাড়া দলবদলে আমাদের ভোটব্যাঙ্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না।
এদিন সকাল থেকেই সিপিএম প্রার্থী সৌমেন মাহাত বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে টোটোয় চেপে প্রচার চালান। কখনও ভোটারদের করজোরে নমস্কার জানিয়ে, কখনও আবার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান। তিনি বলেন, শান্তিপুরের মানুষ তৃণমূল ও বিজেপিকে ভোট দিয়ে ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই দুর্নীতিমুক্ত শান্তিপুর গড়তে সিপিএমের প্রতি মানুষ আস্থা রাখবেন। পাশাপাশি কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল কন্দখোলা বাবলা গোবিন্দপুর প্রভৃতি গ্রামীণ এলাকায় প্রচার চালান। তিনি বলেন, শান্তিপুর কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। এবার এককভাবে কংগ্রেস লড়াই করছে। তাই মানুষ কংগ্রেসের প্রতি আস্থা রাখবে। আমরাও পুরোদমে প্রচার চালাচ্ছি।