পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম্পূর্ণ ১ লক্ষ ৯৬ হাজার আবেদনের মধ্যে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার জনের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। তাঁদের প্রত্যেকের কার্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। কার্ড তৈরির আগেই ইউআরএন(ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর) পাওয়া যায়। আপাতত সেই নম্বর দিয়েই স্বাস্থ্যসাথী জটে আটকে থাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ১ লক্ষ ৬৪ হাজার অসম্পূর্ণ আবেদন ফাইনাল করে দেওয়া হবে। এছাড়াও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আইএফএসসি কোড ও অ্যাকাউন্ট ডরম্যান্ট থাকার কারণে আরও কয়েক হাজার আবেদন অসম্পূর্ণ। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে। দীর্ঘদিন লেনদেন না করলে অ্যাকাউন্ট ডরম্যান্ট হয়ে যায়। সেইসব অ্যাকাউন্ট ফের সচল করার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের জেরে আইএফএসসি কোড নিয়ে অনেকের সমস্যা হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্কিমে একজনের তিন-চারটি পর্যন্ত আবেদন পেয়েছেন সরকারি কর্মীরা। এরকম বহু আবেদনকারীর একাধিক আবেদন সামনে এসেছে। একটি আবেদনপত্র বাতিল হলে আরএকটির মাধ্যমে সুবিধা পাওয়া যাবে, এই ভাবনা থেকেই একাধিক আবেদন করার ঘটনা ঘটেছে।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, যাঁরা একাধিক আবেদন করেছেন, তাঁদের একটি মঞ্জুর হবে। বাকিগুলি বাতিল হবে। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জটিলতায় প্রায় দু’লক্ষ অসম্পূর্ণ আবেদন আমরা সমাধানের জন্য সোমবার থেকে কাজ শুরু করছি। এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করা হবে।
অক্টোবর মাসের শুরু থেকেই রাজ্যের শিশু ও নারীকল্যাণ দপ্তর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্কিমে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে। ওই স্কিমে জেনারেল কাস্টের মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ এবং এসসি ও এসটি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসিক হাজার টাকা অনুদান পাবেন। পুজোর আগেই টাকা ঢুকতে শুরু করায় খুশি মহিলারা। তাছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা এবার জলবন্দি। আমন চাষ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। এখনও ভগবানপুরবাসী বন্যা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এই অসময়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্কিমে অনুদান দুর্গতদের কাজে লাগছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাট ব্লকে ৫১ হাজার ৩৪ জন, তমলুক ব্লকে ৪০ হাজার ৬৫১ জন, পাঁশকুড়া ব্লকে ৪৬ হাজার ১৯৬ জন, ময়না ব্লকে ৪০ হাজার ৪৫৬ জন, ভগবানপুর-১ ব্লকে ৪৩ হাজার ২৬২ জন এবং ভগবানপুর-২ ব্লকে ৩৪ হাজার ৫০৩ জনের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে উপভোক্তা হিসেবে অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। জেলায় ২৫টি ব্লক ও পাঁচটি পুরসভা এলাকায় এরকম মোট ৮ লক্ষ ৭০ হাজার নাম অনুমোদন হয়েছে। এখনও যাঁদের নাম উপভোক্তা তালিকায় ওঠেনি সেই কাজ আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ করার টার্গেট নিয়েছে প্রশাসন।