কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, পুজোর সময় মানিকপাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা পুরুষ বানরটিকে জালবন্দি করার জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাঁরা ব্যর্থ হন। গ্রামবাসীরা জানান, সেই সময় বানরের দলটিকে বনকর্মীরা অন্যত্র তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ফের দলটি এলাকায় ঢুকেছে। দলে থাকা একটি বানর মানুষের উপর আক্রমণ করছে। বিশেষত ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। বিষয়টি বনবিভাগকে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত তারা বানরটিকে জালবন্দি করতে পারেনি। বানরের আতঙ্কে এলাকার সবার ঘুম ছুটেছে। বানরের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গ্রামবাসীরা মশারি ও নেট দিয়ে নিজেদের ঘর ঘিরে রেখেছেন।
বালিভাসা গ্রামের বাসিন্দা কল্যাণ মাহাত বলেন, পুরুষ বানরটির আক্রমণে আমাদের গ্রামের ১২ থেকে ১৩ জন জখম হয়েছেন। আমার ভাই মানিককে রাতেরবেলা ঘরে ঢুকে আঁচড় মেরেছে। তার আগে গ্রামের অভিজিৎ মাহাতর উপর চড়াও হয়। এছাড়াও আরও অনেকে জখম হয়েছেন। আক্রান্তরা বালিভাসা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। বানরের আতঙ্কে আমরা ঘরকে জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছি। হামলা করার পর বানরটি লুকিয়ে পড়ছে। রাতবিরেতে কখন আক্রমণ করবে, কেউ বুঝতে পারছি না।
আক্রান্ত মানিকবাবু বলেন, রাতেরবেলা ঘরে শুয়েছিলাম। জানালা দিয়ে ঢুকে বানরটি আমাকে আঁচড় মেরেছে। বাদিনা গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত মাহাত বলেন, কয়েকদিন আগে বাইকে ফেরার সময় আমাদের গ্রামের এক মহিলা সহ দু’জন বানরের আক্রমণে জখম হয়েছেন। তাঁদের কামড়ে দেয় বানরটি। আমরা বানরটিকে ধরার জন্য স্থানীয় বিট আধিকারিককে জানিয়েছি। এর আগে একদিন বনকর্মীরা বানরটিকে ধরার জন্য এসেছিলেন। তখন বানরের দলটি অন্যত্র চলে গিয়েছিল। আবার ফের এলাকায় ঢুকেছে।
প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনী ব্লকের চিল্কিগড় মন্দির প্রাঙ্গণে বানর দেখা যায়। তবে এই বানরের দল কোথা থেকে এসেছে, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে বনবিভাগ। মানিকপাড়া রেঞ্জের বনাধিকারিক অর্ণব ঘোষ বলেন, এই বানরগুলি সম্ভবত পোষা বানর নয়। গাড়ির মধ্যে এনে কেউ এলাকায় ছেড়ে দিয়েছে। আমরা এর আগে বানরটিকে ধরার জন্য জাল পেতে ছিলাম। সেবার পালিয়েছে। পুজোর ছুটির পর বানরটিকে ধরা হবে।
ঝাড়গ্রামের ডিএফও শেখ ফরিদ বলেন, আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের এনিয়ে সচেতন করব। বানরটিকে ধরার জন্য প্রয়োজন মতো যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।