কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সিআইডি সূত্রে খবর, চেন্নাইয়ের নির্মীয়মাণ সরকারি আবাসন প্রকল্পে ভিনরাজ্যের অনেক শ্রমিক কাজ করছেন। সেখানেই সুরজ রাজমিস্ত্রির কাজ নিয়েছিল। নির্মীয়মাণ আবাসনে থাকত। নির্মাণ শ্রমিকের জন্য এরাজ্যের অনেকেই কেরল, চেন্নাইয়ে পাড়ি দেয়। এখানে খুন করে পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে ওই নির্মাণ শ্রমিকদের দলে ভিড়ে গিয়েছিল সুরজ। তবে গা ঢাকা দিয়ে থাকার জন্য আর কেউ তাকে সাহায্য করেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, ঘটনার পর সিআইডির তদন্তকারীরা যাতে মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করতে না পারে তার জন্য সুরজ মোবাইল ব্যবহার করত না। এমনকী পরিচিত কারও সঙ্গে সে যোগাযোগ রাখত না। কিছু পরিচিত লোকের মাধ্যমে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিল। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। সিআইডির দাবি, ধৃত সুরজই মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চলের তৃণমূল নেতা অসীম দাসকে বাইকে চেপে এসে গুলি করে। তারপর সে এলাকা ছাড়ে। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে কাটোয়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
সিআইডির এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, মহম্মদ সুরজকে ধরতে গিয়ে অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে। খুনের পর প্রায় তিন মাস ধরে তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। অবশেষে ধৃত বাবুলকে লাগাতার জেরা করে জানা যায়, সুরজ চেন্নাইয়ে পালিয়ে গিয়েছে। তারপরই আমাদের একটি টিম গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও জানা গিয়েছে, অসীম দাস খুনে ১৩ আগস্ট বীরভূম জেলার ঘিদহ গ্রাম থেকে সিআইডি গ্রেপ্তার করে শেখ খোকন ওরফে বাবুলকে। কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কাজের আড়ালেই শার্প শ্যুটার ভাড়া দিত খোকন। এলাকায় শান্ত স্বভাবের বাবুল যে এমন কাজ করতে পারে, তা ভাবতে পারেননি প্রতিবেশীরা। বাবুলই প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুরজকে নিয়োগ করেছিল। তবে অসীমবাবু খুনে মূল অভিযুক্ত শেখ রাজু বাবুলকে শ্যুটার ভাড়া করার জন্য টাকা দিয়েছিল। কীভাবে সুরজ নিখুঁত অপারেশন চালিয়েছিল, তা জানার জন্য সিআইডির অফিসাররা তদন্ত শুরু করেছেন।প্রসঙ্গত, ১২ জুলাই সন্ধ্যায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন করা হয়। ওই দিন লাখুরিয়া অঞ্চলের সিউড় গ্রামের বাসস্ট্যান্ড থেকে পাকা রাস্তা ধরে গ্রামের দিকে কিছুটা এগিয়ে ক্যানেল পাড়ের কাছে আসতেই অসীমবাবুকে খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে। ১৬ জুন ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত সহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুজোর আগেই ন’জনের নামে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। সেখানে দু’জনকে ফেরার দেখানো হয়।এদিকে জানা গিয়েছে, মামলার মূলচক্রী ধৃত শেখ রাজু অবৈধ বালিরঘাট চালাত। তার বালির অবৈধ কারবারে অসীমবাবু প্রতিবাদ জানাতেন। তাছাড়া আরও বেশকিছু কারণে অসীমবাবুর উপরে তার আক্রোশ জন্মায়। এর জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।