বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পানুহাটের মাধাইতলা এলাকার বাসিন্দা কুণ্ডু পরিবারে বিষ্ণুপ্রিয়ার আরাধনা হয় কলাবউ তৈরি করে। ফল দেয় এমন একটি কলাগাছ কেটে আনা হয় পুজোর আগের দিনই। তারপর কলাগাছটির গায়ে আরও চাররকম গাছ বেঁধে দেওয়া হয়। তার মধ্যে থাকে ধান, হলুদ, তুলসী ও মানকচু। এর পরে কলাগাছকে নতুন বউয়ের মতো করে শাড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। সিংহাসনে কলাবউ রেখে সেই কলাগাছকেই পুজো করা হয় লক্ষ্মীরূপে। পানুহাটের আরেক বাসিন্দা বলেন, বাংলাদেশে এভাবেই আমাদের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হতো। এখানে আসার পরেও সেই রীতিই চলে আসছে। আমরা এই লক্ষ্মীকে বলি কলাবউ লক্ষ্মী। পালপাড়ার বহু বাড়িতেও একইভাবে কলাগাছে লক্ষ্মী পুজো করা হয় কোজাগরীতে।
শুধু তাই নয়, এই পুজোর আর এক বৈশিষ্ট্য হল নৌকা। কলার বাজরা কেটে নৌকা তৈরি করে তাতে পঞ্চশস্য এবং সোনা-রূপার মুদ্রা রেখে লক্ষ্মীর সঙ্গেই পুজো করা হয়। কেউ কেউ এখন পিতলের তৈরি নৌকাও ব্যবহার করেন। তৈরি করে তাতেই সমস্ত উপকরণ রেখে পুজো করা হয়। অনেক বাড়িতে আবার ছোট ছোট ধানের মড়াই তৈরি করেও সাজিয়ে দেওয়া হয় লক্ষ্মীর সামনে।
কিন্তু লক্ষ্মীপুজোয় এই রীতি কেন? অনেকে বলেন, কাটোয়া ও তার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে কলাগাছকেই লক্ষ্মী হিসাবে পুজো হয়। কারণ, লোকপুরাণ অনুসারে কলাগাছ বিষ্ণুর অবতার। আর ফলবতী কলাগাছ বিষ্ণুপ্রিয়া। তাই কলাগাছকেই বিষ্ণুপ্রিয়া লক্ষ্মী হিসাবে পুজো করা হয়। পাশপাশি গাছের মাধ্যমে পুজো হওয়ায় শস্যলক্ষ্মীর ধারণাও এর মধ্যে আছে। নৌকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লক্ষ্মী যেমন কৃষির দেবী তেমনি বাণিজ্য ও ধনসম্পদেরও দেবী। তাই বাণিজ্য তরী সাজিয়ে আরাধনা করা হয় বাণিজ্য লক্ষ্মীর। নিজস্ব চিত্র