বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বুধবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। তার আগে পালপাড়ায় নাওয়া-খাওয়া ভুলে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত প্রতিমা নির্মাণে। বিভিন্ন দুর্গাপুজো মণ্ডপগুলিতেও চলছে লক্ষ্মীপুজোর প্রস্তুতি। গৃহস্থরাও ব্যস্ত কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে। কিন্তু শেষ মুহূর্তের মেঘলা আকাশ প্রতিমা তৈরিতে কার্যত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মৃৎশিল্পীদের দাবি। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর মধ্যেও বৃষ্টি পিছু ছাড়েনি। জেলাজুড়ে অষ্টমী ও নবমীতে নানা জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এখন লক্ষ্মীপুজোর মুখে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি চিন্তা বাড়িয়েছে পালপাড়ার। সিউড়ি স্টেশন মোড় সংলগ্ন পালপাড়ার মৃৎশিল্পী সমীর পাল বলেন, দুর্গাপুজোর আগেও ঠাকুরের মূর্তি তৈরি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় ছিলাম। কারণ, তখনও বৃষ্টি হয়েছে। কোনওক্রমে এবার প্রতিমা নির্মাণ করে দুর্গাপুজো পার করেছি। এখন পুজোর পর আবার বৃষ্টি হবে বলছে। জানি না লক্ষ্মীপুজোয় কী হবে! আর একটু সময় পেলেই লক্ষ্মীপুজোর কাজ শেষ করতে পারতাম।
পুজোর আগে বন্যার কবলে পড়া বীরভূমের নানুর, দুবরাজপুর ও খয়রাশোল ব্লকের একাধিক গ্রামের দুর্গতরা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসার যখন আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তখন ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি তাঁদেরও চিন্তা বাড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও এইসব বন্যা কবলিত গ্রামের বাসিন্দারা অনেকেই নিজের বাড়ি ফিরতে পারেননি। অনেকেই আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পুজো কাটিয়েছেন। যাঁদের বাড়ি-ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে তাঁরা এখন নতুন করে মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরিতে ব্যস্ত। আবহাওয়া দপ্তরের কথামতো ফের বৃষ্টি হলে বীরভূমের নদ-নদীগুলিতে নতুন করে জলস্ফীতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। ফলে উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে আবার জল ঢুকে গ্রামগুলি প্লাবিত হতে পারে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে বীরভূম জেলা প্রশাসনের দাবি। আপৎকালীন সব ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, আগে থেকেই পুজোয় বৃষ্টি আশঙ্কা ছিল। যাই হোক পুজো নির্বিঘ্নেই কেটেছে। তবে আবার বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর প্রশাসন থেকে নজর রাখা হচ্ছে।