পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিদ্যুৎবাবু উপাচার্য পদে যোগ দেওয়ার কিছু দিন পর থেকেই নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য অধ্যাপক, পড়ুয়া, কর্মিমহলের একাংশের বিরাগভাজন হন। ২০১৯সালে পৌষ মেলায় ব্যবসায়ীদের কাছে নেওয়া সিকিউরিটি মানি এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি বলে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি ও শান্তিনিকেতন কবিগুরু হস্তশিল্প উন্নয়ন সমিতির অভিযোগ। এই মর্মে রবিবার শান্তিনিকেতন থানায় ফের অভিযোগ জানান কবিগুরু হস্তশিল্প সমিতির সম্পাদক আমিনুল হুদা।
স্মারকলিপিতে যৌথ মঞ্চ দাবি করেছে, উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎবাবু বিশ্বভারতীতে আসার পর থেকে এপর্যন্ত শান্তিনিকেতন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ২০টির বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে পৌষ মেলার সময় এক মহিলার শ্লীলতাহানি সহ জাতিবিদ্বেষ, কোভিড বিধি লঙ্ঘন করে বেআইনি জমায়েতের অভিযোগও রয়েছে। তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী উপাচার্য বলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ সত্বেও পুলিস নিষ্ক্রিয়। পাশাপাশি নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া ফটক খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, তিন পড়ুয়ার বহিষ্কারের প্রতিবাদে বিশ্বভারতীতে আন্দোলন শুরুর সময়ই বিশ্বভারতী-শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ তৈরি হয়। মঞ্চে রয়েছে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউএফএ, কবিগুরু হস্তশিল্প ও উন্নয়ন সমিতি, ছাত্রছাত্রী ঐক্য, কর্মিসভা, অস্থায়ী কর্মী সংগঠন, আলাপিনী মহিলা সমিতি সহ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির মতো সংগঠন। মঞ্চের সদস্যরা এদিন শান্তিনিকেতন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পর স্মারকলিপি জমা দেন। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়। নতুবা ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
এবিষয়ে যৌথ মঞ্চের তরফে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ও আমিনুল হুদা বলেন, একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শান্তিনিকেতন পুলিস উপাচার্য ইস্যুতে নিষ্ক্রিয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কেউই ভারতীয় সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে নন। পুলিস সব জেনেও চুপ করে রয়েছে। এরপরও যদি পুলিস ব্যবস্থা না নেয় তাহলে বূহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এদিন বিশ্বভারতীর পৌষ মেলার মাঠে কয়েকজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ‘দালালি’র অভিযোগ তুলে ব্যানার টাঙানো হয়। এই ঘটনায় শান্তিনিকেতনে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এবিষয়ে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেন।