কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তবে পাচারকারীদের নতুন কৌশল আটকাতে বাড়তি পদক্ষেপ নিচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীও। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরে এই ধরনের একাধিক অপরাধ আটকানো সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন নিষিদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। গত রবিবার নদীয়ার হোগলবেড়িয়া থানার সীমান্তবর্তী মধুগিরি এলাকা থেকে দু’টি দেশি পিস্তল উদ্ধার করে বিএসএফ। এছাড়াও ওইদিন মেঘনা এলাকা থেকে আট কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন জওয়ানরা। যার আনুমানিক বাজারদর প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
বিএসএফের ১৪১ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডিং অফিসার নগেন্দ্র সিং রাউতেলা বলেন, আমাদের জওয়ানরা সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের চোরাচালান বন্ধ করতে সব সময় তৎপর। ওই আগ্নেয়াস্ত্র ও গাঁজা হোগলবেড়িয়া থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই দিন মধুগিরি গ্রামের সীমান্তবর্তী একটি কলাবাগানে দেশি পিস্তল দু’টি লুকিয়ে রেখে যায় চোরা কারবারিরা। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লোকেশন ল্যান্ডমার্ক চিহ্নিত করে বিএসএফ। ওই কলাবাগানে অভিযান চালিয়ে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে কালো ব্যাগ উদ্ধার করেন জওয়ানরা। সেই ব্যাগেই আগ্নেয়াস্ত্র দু’টি রাখা ছিল। অন্যদিকে একই কায়দায় মেঘনা এলাকায় ঝোপের মধ্যে থেকে আট কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, সীমান্তে চোরাচালান আটকাতে বিএসএফ সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। ফলে মাঝেমধ্যেই চোরা কারবারিরা ধরা পড়ে যাচ্ছে। তাই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজর এড়াতে পাচারের নতুন কৌশল নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি সীমান্তের বেশকিছু নির্জন এলাকা থেকে এই ধরনের নিষিদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। মূলত এক দেশ থেকে অন্য দেশে সামগ্রী পাচারের জন্য চোরা কারবারিরা এতদিন হাতবদল করত। কিন্তু তা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে চোরা কারবারিরা বর্তমানে কাঁটাতার লাগোয়া বেশকিছু এলাকা চিহ্নিত করেছে। রাতের অন্ধকারে এদেশের চোরা কারবারিরা ওই জায়গায় পাচারের সামগ্রী রেখে আসছে। পরে সুযোগ বুঝে কাঁটাতারের ওপারে থাকা চোরা কারবারিরা সেই ল্যান্ডমার্ক ধরে ওই সামগ্রী নিজেদের জিম্মায় নিচ্ছে। এই কাজ হাসিলের আগে পাচারকারী বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে গেলেও পাচার সামগ্রী থেকে যাচ্ছে গোপন জায়গাতেই।
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, সীমান্তের কাঁটাতার লাগোয়া চাষের জমি রয়েছে। তাই জওয়ানদের গতিবিধি দেখলে সহজেই ওই জমিতে গা ঢাকা দিচ্ছে চোরা কারবারিরা। কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার পূর্ব দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রায় ২০.৫ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। তার মধ্যে আবার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রয়েছে নদীপথ। সেই কারণেই রাতের অন্ধকারে পাচার চালায় চোরা কারবারিরা।