সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
গত শুক্রবার শহরের একটি শপিং মলে গিয়েছিলেন ১০নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বৃদ্ধা মঞ্জুলা সিংহরায়। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে তিনি ব্যবহারের সোনার বালা, কানের দুল প্রভৃতি গয়না খুলে টাকার ব্যাগে রাখেন। এরপরই তিনি পুজোর কেনাকাটা সেরে ওই শপিং মল থেকে মেয়েকে নিয়ে টোটো চেপে বাড়ির পথে রওনা দেন। মাঝপথেই বৃদ্ধার মেয়ে টোটো থেকে নেমে যান। তখনই টোটো চালককে তিনি ভাড়া মিটিয়ে দেন। এরপর কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় বাড়ির সামনে টোটো থেকে নামেন বৃদ্ধা। পুজোর জামা কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে তিনি টোটো থেকে নামালেও টাকার ব্যাগটি টোটোতেই থেকে যায়।
পরে তিনি খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন, ওই ব্যাগটি নেই। এরপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ওই টোটো চালকের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে রানাঘাট পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যানকে কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই বৃদ্ধা বিষয়টি জানান। এরপরই হারিয়ে যাওয়া ব্যাগটি খুঁজে পেতে তৎপর হয় পুরসভা।কোশলদেববাবু বলেন, বিষয়টি জানা মাত্রই ওই শপিং মল এলাকার বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করি। এরপর ওই টোটোটি চিহ্নিত করা হয়। তারপরই টোটোর নম্বরের সূত্র ধরে চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। জানতে পারি স্ত্রীকে নিয়ে আনন্দবাবু হাসপাতালে রয়েছেন। রবিবার আনন্দবাবু নিজেই ওই ব্যাগ বৃদ্ধাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
টোটোচালক আনন্দবাবু বলেন, স্ত্রীর হার্টের অপারেশনের জন্য দু’দিন দেরি হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ হাতে পেতেই চোখের কোনে জল জমে মঞ্জুলাদেবীর। তিনি বলেন, ব্যাগের ভিতর প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার সোনার গয়না ছিল। ওই গয়না আমি সবসময় ব্যবহার করি। তবে মাঝেমধ্যে খুলে টাকার ব্যাগে রাখতাম। ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার পর থেকে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এদিন ব্যাগ ফেরত পেয়ে খুশি। পাশাপাশি তিনি টোটো চালককে ভগবানের দূত বলেও কুর্নিশ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে রানাঘাট বাজারে এসে এক লক্ষ টাকা ব্যাগ হারিয়ে ফেলেছিলেন করিমপুরের এক ব্যবসায়ী। ওইদিনও টোটো চালক তাপস কুণ্ডু ওই ব্যাগটি নিয়ে পুরসভায় হাজির হন। পরে ব্যবসায়ীর হাতে ব্যাগটি তুলে দেওয়া হয়।