সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
হাঁসখালি ব্লকের বগুলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৈখালি এলাকায় বেনালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা বিজেপির শ্রমিক মোর্চার রাজ্যের সহ-সভাপতি বিমল বিশ্বাসের বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত প্রায় সাড়ে ৯টা নাগাদ গ্রামের নির্জন এলাকায় বসে কোন কোন পড়ুয়াকে সাইকেল দেওয়া হবে, সেই তালিকা তৈরি হচ্ছিল। নিয়ম না মেনে ওই সাইকেল বণ্টনের অভিযোগ এনে রাতে পুলিসকে খবর দেন স্থানীয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি শীলা বিশ্বাস। এনিয়ে শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে বচসাও হয়। পুলিস এলে সেই সময়ের জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর পুলিস এলাকা ছাড়তেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের বুথ সভাপতি শীলা বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে শুভম বিশ্বাসকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে শাসক শিবিরের অভিযোগ। শীলাদেবীর পেটে ও শুভমের পায়ে গুলি লাগে। বিজেপি নেতা তথা প্রধান শিক্ষকের ভাই তপন বিশ্বাস এবং ভাইপো দেবর্ষি বিশ্বাস গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাঁদের প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর হাসপাতাল নিয়ে যান। এদিন সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, পিচ রাস্তাজুড়ে একাধিক গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। পড়ে রয়েছে গুলির খোল। রাস্তার পাশেই চাপ চাপ রক্তের দাগও স্পষ্ট। অনেকেই বলেন, রাতে দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোলের সময় এলোপাথাড়ি গুলি চলেছে। তার আগে দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক স্তম্ভের লাইট ভেঙে এলাকা অন্ধকার করে দিয়েছিল। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ওই রাতে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালের বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ করে তৃণমূল কর্মীরা। সেখানে ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূলের সমীরকুমার পোদ্দার। তিনি বলেন, স্কুলের সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল অন্যায়ভাবে তালিকা তৈরি করে বণ্টন করা হচ্ছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা ওই বিজেপি নেতার নেতৃত্বে দুর্নীতি চলছিল। আমাদের বুথ সভাপতি পুলিসে অভিযোগ জানায়। এরপরই বিজেপির দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে ওরা নিজেরাই গুলিবিদ্ধ হওয়ার নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ওদেরই গুলিতে নিজেদের কেউ গুলিবিদ্ধ হতেও পারে। গুলি চালানোয় যুক্ত বিজেপির দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই রানাঘাট উত্তর পূর্বের বিধায়ক বিজেপির অসীম বিশ্বাস। তিনি বলেন, মানুষের সমর্থনে আমরা জয়ী হয়েছি। বিজেপির কোনও দুষ্কৃতী বাহিনী নেই। এলাকার মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতি তৈরি করার জন্যই ওই রাতে তৃণমূল আশ্রিতরা গুলি চালিয়েছে। আমাদের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা বিজেপি নেতা বিমল বিশ্বাস বলেন, এর আগেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের প্রাণে মারতে চেয়েছিল। ওই রাতে ভাই ও ভাইপোকে লক্ষ্য করে ওরা গুলি চালিয়েছে। সাইকেল বণ্টন নিয়ে অনিয়মের কোনও ঘটনাই ঘটেনি।