সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে মাছ আসার পর তা জলঙ্গি বা সাগারপাড়ার কারবারিরা নিজেদের স্টক পয়েন্টে রাখে। তাদের সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কারবারিদের আগেই ফোনে যোগাযোগ হয়ে যায়। অর্ডারমতো মাছ তারা গাড়িতে তুলে ডোমকল-বহরমপুর রাজ্য সড়ক হয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেয়। ইসলামপুর থেকে উদ্ধার হওয়া মাছ সাঁইথিয়া-সিউড়ি রাস্তা হয়ে শিল্পাঞ্চলে পৌঁছে যেত। কিন্তু তার আগেই পুলিসের কাছে খবর চলে আসায় পাচারকারীদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ধৃতরা কার কাছে মাছগুলি নিয়ে যাচ্ছিল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অভিনবভাবে মাছ এরাজ্যে আসে। চরে বিঘার পর বিঘা জমিতে পাট চাষ হয়। পাটের আঁটির মধ্যে মাছ ভরে দেওয়া হয়। পরে সেটি জলে ভাসিয়ে নিয়ে আসা হয়। আবার নৌকায় ভাসিয়েও ইলিশ নিয়ে আসা হচ্ছে। ছোট ডিঙির মতো নৌকার উপরে কচুরিপানা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নৌকা দড়িতে বেঁধে ধীরে ধীরে টেনে আনা হচ্ছে। বিএসএফের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যই এই কৌশল নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পদ্মার মাছের দাম দিতে ভোজন রসিকরা কার্পণ্য করেন না। অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় অনেক বেশি টাকা খরচ করে তা তারা কেনে। বেশিরভাগ মাছের ওজন ৫০০গ্রামের বেশি। এক কেজি ওজনের মাছও প্রচুর পরিমাণে আসে। বাংলাদেশে মাছ ধরার উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ রয়েছে। প্রজননের সময় টানা একমাস নদীতে ইলিশ ধরতে দেওয়া হয় না। তার বিনিময়ে সেদেশের সরকার মৎস্যজীবীদের সংসার চালানোর খরচ দেয়। এদেশেও প্রজননের সময় মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তা খাতায় কলমে থেকেই যায়। নিয়ম না মেনে ছোট সাইজের ইলিশও দেদার ধরা হয়। সেই কারণেই এখানে মাছের আকাল দেখা যাচ্ছে বলে মৎস্যজীবীদের একাংশ মনে করছে। জলঙ্গির মৎস্যজীবী অমৃত মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার সময় আমাদের পদ্মায় প্রচুর পরিমাণ এই মাছ পাওয়া যায়। এখন ভালোই মাছ উঠছে। পুজোর পরও মাছ পাওয়া যাবে। এই মাছ স্থানীয় বাজারেই বিক্রি হয়ে যায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে চোরাই পথে আসা ইলিশ বাইরের জেলায় পাচার হয়ে যাচ্ছে। পাচারকারীরা অনেক বেশি লাভ পাচ্ছে। সেই কারণে তারা আসানসোল বা কলকাতায় পাঠাতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় গজিয়ে ওঠা এই চক্রটির উপর নজরদারি শুরু হয়েছে। ইসলামপুরে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ক্যারিয়ারের কাছে থেকে চক্রের বেশ কয়েকজনের নাম পুলিস পেয়েছে।