পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সেচদপ্তরের কাঁথির এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্তম হাজরা বলেন, কেলেঘাই নদীর উপর অজস্র কাঠের সেতু রয়েছে। সেই সেতুতে নৌকা আটকে যাচ্ছে। যে কারণে নদীবাঁধ মেরামতের জন্য যেসব সামগ্রী প্রয়োজন, তা পাওয়া যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় কাঠের সেতু ভেঙে সাতটি নৌকা আনা হলেও ১০-১৫টি নৌকা কাঁটাখালিতে আটকে রয়েছে। কবে নাগাদ ওই কাজ শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না।
গত ১৬তারিখ থেকে কেলেঘাই নদীর ভাঙা ওই বাঁধ দিয়ে দ্রুত গতিতে জল ঢুকছে। প্রতিদিন নতুন নতুন মৌজা প্লাবিত হচ্ছে। এদিনও ভগবানপুর-২ব্লকের গড়বাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছ’টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভগবানপুর-১ব্লকের বেঁউদিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় সমস্ত মৌজা প্লাবিত হয়েছে। ভগবানপুর-১ ও ২ব্লকের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস জলের তলায়। ভগবানপুর-১ব্লকের কাজলাগড় পঞ্চায়েত অফিস অস্থায়ীভাবে বাজকুল কলেজ থেকে চালানো হচ্ছে। একইভাবে কাকড়া পঞ্চায়েত অফিস জলের তলায় চলে যাওয়ায় কাকড়া হাইস্কুল থেকে অফিস চলছে। কোটবাড় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভিতর সাঁতার দেওয়ার মতো জল। বাজকুল-এগরা রাস্তার ধারে কলাবেড়িয়ায় একটি দোকানঘরে ক্যাম্প করে সেখান থেকেই ওই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম চলছে। এখন পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সরকারি ত্রাণসামগ্রী বিলিবণ্টনের কাজ চলছে। সেইকাজ অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে করা হচ্ছে।ভগবানপুর-২ব্লকের ইটাবেড়িয়া, মুগবেড়িয়া, রাধাপুর এবং গড়বাড়ি-২ পঞ্চায়েতের অবস্থা শোচনীয়। একইভাবে পটাশপুরের বড়হাট, ব্রজলালপুর, চিস্তিপুর-১ ও ২, অমর্ষি-১ ও ২পঞ্চায়েতের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। পটাশপুর-২ব্লকের মথুরা পঞ্চায়েত এলাকাতেই প্রায় তিন হাজার মানুষ ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অবস্থা ভীষণ খারাপ। পটাশপুর ও ভগবানপুর ব্লকের ১০০-র বেশি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র জলের তলায়। সমবায় সমিতি, ব্যাঙ্ক জলমগ্ন। টানা ন’দিন বিদ্যুৎহীন প্লাবিত এলাকা। ভগবানপুর-১ব্লকের তালতলা, ভগবানপুর-২ব্লকের উদবাদাল, এগরা-২ব্লকের জিনন্দপুর প্রভৃতি সাবস্টেশন জলের তলায়। একটানা বিদ্যুৎহীন থাকায় বন্যা দুর্গত মানুষজনের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অবরোধ, বিক্ষোভ, স্টেশন ম্যানেজারের অফিস ভাঙচুরের ঘটনার পরও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এরই মধ্যে নিম্নচাপের জেরে রবিবার থেকে জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তার জেরে বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। বৃষ্টির জলেই কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, শহিদ মাতঙ্গিনী, ময়না প্রভৃতি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ওইসব এলাকায় ভোগান্তি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।