পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, আমরা উম-পুন ও যশ সাইক্লোনের মতোই প্রস্তুতি নিচ্ছি। সমস্ত শিবির তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতির কাজ জোরকদমে চলছে। ২৫টি ব্লক ও পাঁচ পুরসভার কাছে নির্দেশিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা, মহকুমা ও ব্লকস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ত্রিপলের তলায় আশ্রয় নেওয়া বন্যা দুর্গতদের পাকাবাড়ি, স্কুল বিল্ডিং প্রভৃতি জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার বার্তা পাঠানো হয়েছে। বিডিওদের সেইমতো নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকেই উপকূলবর্তী রামনগর-১ ও ২, কাঁথি-১ ও দেশপ্রাণ, খেজুরি-২ প্রভৃতি ব্লকে সাইক্লোন মোকাবিলায় জোর তৎপরতা শুরু হয়। দীঘা, মন্দারমণি সহ সর্বত্র মাইকে প্রচার চালানো হয়। পরপর দু’বছর ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলবর্তী পাঁচ ব্লক ছাড়াও লাগোয়া কাঁথি-৩, খেজুরি-১, নন্দীগ্রাম-১ ও ২, হলদিয়া, সুতাহাটা ও মহিষাদল ব্লকে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেজন্য গুলাব মোকাবিলায় ওইসব ব্লকেও শনিবার থেকেই মাইকিং চলছে। ঝড়ের আগে কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা নিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।রবিবার সকাল থেকেই পুলিস, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়াররা দীঘায় তৎপর হন। এদিন পুলিসের গাড়িতে উপকূল এলাকায় প্রচার চালানো হয়। বুধবার পর্যন্ত উপকূল এলাকায় কমলা(অরেঞ্জ) সতর্কতা জারি হয়েছে। যশ সাইক্লোনের সময় উপকূল এলাকা সহ মোট চার লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছিল। গুলাব সাইক্লোন নিয়েও কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। আপাতত এক লক্ষ মানুষকে মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টার, স্কুল ঘর, ফ্লাড শেল্টারে সরানোর পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবারের আবহাওয়া রিপোর্ট অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।পটাশপুর ও ভগবানপুরের বেশিরভাগ এলাকা এই মুহূর্তে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। কয়েক হাজার দুর্গত ত্রিপলের তলায় আশ্রয় নিয়েছেন। এই ঘূর্ণিঝড়ে তাঁদের নিয়েই সবচেয়ে বেশি চিন্তা প্রশাসনের। ত্রিপলের তলায় আশ্রয় নেওয়া দুর্গতদের উঁচু নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে। এই কয়েকটা দিনে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার আবেদন করব।
সাইক্লোন নিয়ে প্রত্যেকেই সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলুন। আমাদের পাশে সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন।