কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন ভোররাতে বড়র মোড়ের কাছে একটি চাল ও তিলের গোডাউনের শাটার ভেঙে ৭০বস্তা চাল ও ১৩ কুইন্টাল তিল নিয়ে গাড়িতে তুলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে মালিক দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন শাটার ভাঙা। গুদাম পুরো ফাঁকা। এরপর তিনি মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, নিখুঁত পরিকল্পনা করে শস্য লুট করে এই গ্যাং। যেখানে লুট চালানো হয়, সেখানকার কোনও স্থানীয় দুষ্কৃতীকে দলে ভিড়িয়ে নেয় তারা। আবার অনেকে নিজের এলাকার পার্শ্ববর্তী কোনও গুদামে লুট করার পারিকল্পনা নিয়ে অন্য জেলার দুষ্কৃতীদের কাজে লাগায়। স্থানীয় দুষ্কৃতী দিনভর নজরে রাখে পণ্যভর্তি গুদামে। তারপর পণ্যের পরিমাণ বুঝে পরিকল্পনা করে নিশুতি রাতে লরি বা মালবাহী গাড়ি নিয়ে ঢোকে পুরো গ্যাং। সেখানে গুদামের দরজা, গ্রিল বা শাটার ভেঙে অবাধে চলে লুট। শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জেলায় চলে এদের লুঠতরাজ।
এসডিপিও(দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান বলেন, খুব শীঘ্রই মেমারির ঘটনায় দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে। মূলত গুদাম ও বিভিন্ন স্টোরেজগুলিতে ডাকাতি করে এরা। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে গুদামের শাটার বা গেটের তালা ভেঙে চলে লুট। এই জেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও এরা একইভাবে লুট করে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বড় বড় গুদামে রয়েছে এদের নজর। জামালপুরের গ্যাংটি এর আগে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানে একই ধরনের লুঠতরাজ চালাত। এই জেলাগুলিতে বেশ কয়েকবার ডাকাতি করেছে। সেই মাল এক জেলা থেকে অন্য জেলায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করছে। চাল, আলু, গম, তিল ও বিভিন্ন ধরনের ডালের বস্তাভর্তি মাল নিয়ে পাচার করত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার মেমারিতে একই জিনিস লুটের পিছনে এদেরই কারও হাত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিসের। এই কাজে সক্রিয় রয়েছে বেশকিছু রিসিভার। যারা তাদের থেকে কম টাকায় মালপত্র কিনে নিজেদের গুদামে রেখে সুযোগ বুঝে বাজারে চালান করে দেয়। মেমারি থেকে লুট হওয়া চাল ও তিলের রিসিভারকে খুঁজছে পুলিস। সেই সূত্র ধরে গোটা গ্যাংকে জালে তুলতে মরিয়া তদন্তকারীরা।