বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন ও স্পোর্টস সায়েন্সের ছাত্রী প্রজ্ঞাপারমিতা সাহা বলেন, মাকে নিয়ে পুজোর কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম। রাস্তাঘাটে যথেষ্ট ভিড় ছিল। মাস্ক ছাড়া অনেককে ঘুরতে দেখে একটু ভয়ই লাগছিল। নতুন জামা কাপড়ের পাশাপাশি মাস্কও কিনেছি। কেন না এখনও করোনা নির্মূল হয়নি। আমরা মনে হয়, এব্যাপারে সকলেরই একটু নিজে থেকে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন। তা নাহলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
প্রাক্তন প্রবীণ শিক্ষক শান্তিরঞ্জন দেব বলেন, এখনও করোনার প্রকোপ কমেনি। সরকারিভাবে বারবার বলা হচ্ছে, প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে বেরবেন না, মাস্ক অবশ্যই পড়ুন, ২ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। কিন্তু অনেকেই সেটা মানছেন না। তার ফল ভোগ করতে হবে। প্রশাসনের একার পক্ষে ক্ষমতা প্রয়োগ করে সচেতনতা আনা সম্ভব নয়। মানুষকেই সচেতন হতে হবে।
নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নিরঞ্জন দাস বলেন, কেনাকাটার জন্য মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন। কিন্তু মাস্ক পরা মানুষ খুঁজে বের করা মুশকিল। গ্রামগঞ্জের মানুষ কেনাকাটার জন্য নবদ্বীপে আসছেন। এখনও আমাদের অনেকটাই সচেতনতার অভাব। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, প্রশাসন যদি দু’একদিন একটু সক্রিয় হয়। বিশেষ করে নবদ্বীপে ঢোকার প্রবেশ পথগুলো যেমন, ফেরিঘাট, নবদ্বীপধাম স্টেশন, বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট ইত্যাদি জায়গায় একটু নজরদারি করে। প্রত্যেক মানুষকে অবশ্যই মাস্ক পরার জন্য বলা উচিত।
নবদ্বীপ পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, পুজো সামনে, স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেকেই কমবেশি কেনাকাটা করেন। সেকারণে বাজারহাট রাস্তাঘাটে একটু ভিড় হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে দোকানদার, ক্রেতা প্রত্যেকের কাছে আবেদন করব, অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। এখনও করোনা সম্পূর্ণরূপে চলে যায়নি। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনও বার্তা দিচ্ছেন, ততক্ষণ আমরা প্রত্যেকেই মাস্ক ব্যবহার করব।